বিজেপি-র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দু-বছর জেল, হারাতে পারেন সাংসদ পদ
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তর প্রদেশের ইটাওয়ার বিজেপি সাংসদ রামশঙ্কর কাথেরিয়াকে শনিবার সাংসদ/বিধায়ক আদালত ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার জরিমানা করেছে। তিনি একটি বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি টরেন্ট-এর এক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা ও দাঙ্গা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
কাথেরিয়া কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও হয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি আগ্রার সাংসদ ছিলেন। রামশঙ্কর কাথেরিয়া ২ বছরের কারাদণ্ডের পরে সংসদের সদস্যপদ হারাতে পারেন। মামলাটি ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বরের।
যে ঘটনায় ক্যাথেরিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে তা ঘটেছিল ১৬ নভেম্বর ২০১১ রাত ১২:১০ টায়। টরেন্ট পাওয়ার লিমিটেডের ম্যানেজার ভবেশ রসিক লাল শাহ আগ্রার সাকেত মল অফিসে বিদ্যুৎ চুরি সংক্রান্ত মামলার শুনানি করছিলেন। এরপর স্থানীয় সাংসদ রামশঙ্কর কাথেরিয়া ১০-১৫ জন সমর্থক নিয়ে এসে ভাবেশ রসিক লাল শাহের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করেন।
এতে বেশ চোট পান শাহ। টরেন্ট পাওয়ারের নিরাপত্তা পরিদর্শক সমেধী লাল এই ঘটনার বিষয়ে হরিপর্বত থানায় অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে রামশঙ্কর কাথেরিয়া ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কাথেরিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিল হরিপর্বত থানার পুলিশ। এ মামলায় সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্কের প্রক্রিয়া শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ৬ জুলাই, ২০১৯-এ, একাথেরিয়ার নিরাপত্তা কর্মীরা আগ্রার রহনকালা টোলে টোল কর্মীদের উপর হামলা চালায়। টোল প্লাজায় স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজে ক্যাথেরিয়াকে টোল কর্মীকে চড় মারতে দেখা গেছে। কাথেরিয়ার নিরাপত্তা কর্মীরা টোল কর্মীদের লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করে। গুলিও হয়েছে। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে।
সাংসদ রামশঙ্কর কাথেরিয়া আগ্রা থেকে দুবার সাংসদ হয়েছেন। ২০০৯ সালে তিনি প্রথমবারের মতো আগ্রা লোকসভা আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালে বিজেপি আবার টিকিট দেয় এবং জয়ী হয়।
২০১৪ সালে, তিনি মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এরপর তিনি এসসি কমিশনের চেয়ারম্যানও ছিলেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ইটাওয়া থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে রামশঙ্কর কাথেরিয়াকে।