হিংসা অব্যাহত মণিপুরে, গত ৭২ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আট জনের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নতুন করে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। গত ৭২ ঘণ্টায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুরের মতো অশান্ত জেলাগুলিতে নতুন করে নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো হলেও হিংসায় ছেদ পড়েনি বলে অভিযোগ। সশস্ত্র মেইতেই এবং কুকিদের গুলির লড়াইয়ের খবর মিলেছে শুক্রবার সকালেও।
মঙ্গলবার মণিপুরে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতায় অন্তত দুই ব্যক্তি নিহত হন। আহত হন পাঁচজনের বেশি। তাঁদের মধ্যে দুজন আজ মারা গেছেন। দক্ষিণ মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর ও বিষ্ণুপুর জেলার সীমানায় খৈরেন্টক নামের একটি অঞ্চলে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয় বলে খবর। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের ফোরাম (আইটিএলএফ) বৃহস্পতিবার চূড়াচাঁদপুরে ধর্মঘট পালন করে।
হিংসা শুরু হওয়ার পর দুই জেলার মধ্যবর্তী অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও কেন্দ্রীয় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। তারপরও ওই অঞ্চলের হিংসা পুরোপুরি থামেনি বলে জানা গেছে।
গত চার মাস ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে অশান্ত মণিপুর। ইতিমধ্যেই ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া। আহতের সংখ্যাও কম নয়। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। এসব মানুষ অস্থায়ী ত্রাণশিবিরগুলোয় ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছেন। সেখানেও যে নিরাপদে আছেন, তা বলা যায় না। রাজ্যজুড়ে এক ত্রাসের পরিস্থিতি অব্যাহত আছ।
মণিপুরের হিংসার ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিবিআই। এই হিংসার ঘটনায় দায়ের হওয়া ২৭টি এফআইআরের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। যে ২৭টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, তার মধ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলার সংখ্যা ১৯, অস্ত্র লুটের মামলার সংখ্যা ৩। দুটি হত্যা এবং একটি করে হিংসা এবং খুন, অপহরণ এবং অপরাধের ষড়যন্ত্রের মামলা রয়েছে।