রাজ্যে টমেটোর চাহিদা মেটাতে এবার উদ্যোগী হল উদ্যানপালন দপ্তর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্পেনের ‘টোমেটিনো’ উৎসবের কথা কে না জানেন। টিভিতে বা অনলাইনে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই উৎসবের ছবি ভিডিও অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু ভারতবাসীর এখন যা অবস্থা হয়েছে সেই ছবি দেখলেই আঁতকে উঠছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, ওই টমেটোর একটু যদি এখানে পাওয়া যেত, কী ভালই না হত।
রান্নায় টমেটো জরুরি। কিন্তু এখন যা অবস্থা টমেটো ছাড়াই রান্না হচ্ছে অনেক বাড়িতে। মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে এই সবজি। দেশের নানা প্রান্তেই একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে অসময়ের টম্যাটো চাষ করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকারের উদ্যানপালন দপ্তর। পলি হাউস’ তৈরি করে অসময়ের টম্যাটো চাষের চেষ্টা চলছে। এই উদ্যোগে কিছু সরকারি সাহায্য দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুর সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে এ ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এগনো হবে। উত্তরবঙ্গের জমি ও পরিবেশ টম্যাটো চাষের অনুকূল। তাই ওই এলাকাকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় টম্যাটোর চাষ হয়। কিন্তু এই চাষের পুরোটাই হয় শীতকালে। নভেম্বরের গোড়ায় প্রথমে পুরুলিয়ায় টম্যাটো বাজারে আসে। তারপর অন্য জেলাগুলির টম্যাটো বাজারে ছেয়ে যায়। ফলে ওই সময় সামান্য দামে পাওয়া যায় টম্যাটো। রাজ্যে উৎপাদিত টম্যাটো মোটামুটি এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাজারের চাহিদা মেটায়। রাজ্য সরকারের খাদ্য সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, মে-জুন মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভিন রাজ্যের টম্যাটোর উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। রাজ্যে প্রচুর ফলন হলেও টম্যাটো হিমঘরে সংরক্ষণ করা যায় না। হিমঘর মালিকদের সংগঠনের কর্তা পতিতপাবন দে জানিয়েছেন, কোনও হিমঘরে টম্যাটো রাখার ব্যবস্থা নেই। এই পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্যে দাম বেড়ে গেলে রাজ্যের বাজারে তার প্রভাব পড়ে। তাই এবার রাজ্যেই সারা বছর ধরে টমেটো চাষের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।