খেলা বিভাগে ফিরে যান

মেসি, নেইমারের দুরন্ত গোল দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল

September 9, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জল্পনা চলছিল তিনি শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপের অভিযান শুরুর দিনে মাঠে নামবেন কি না, তা নিয়ে। তিনি মাঠে নামলেন, দলকে নেতৃত্ব দিলেন, জেতালেন। বিশ্বকাপ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার গোলের খাতা খুললেন লিওনেল মেসি। বুয়েনস এইরেসে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু করে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির গোলে ১-০ ব্যবধানের জয়ে শুভসূচনা করেছে গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৭৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোলটি করেন মেসি।

অন্যদিকে নেইমারের জাদুকরী দিনে ২০২৬ বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বলিভিয়াকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ব্রাজিল। নেইমারের মতোই জোড়া গোল করেছেন রদ্রিগো। অন্য গোলটি রাফিনিয়ার। আর এদিন গোল করে নেইমার ছাড়িয়ে গেছেন পেলেকেও। ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল এখন নেইমারের (৭৯)।

ইকুয়েডরের মিডফিল্ডার ময়জেস কাইসেদো ৭৭ মিনিটে নিজেদের বক্সের সামনে লাওতারো মার্তিনেজকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে মেসির বাঁকানো ফ্রি কিকটি ইকুয়েডরের গোলকিপার এরনান গ্যালিন্দেজ চোখের সামনে দিয়ে জালে জড়াতে দেখেছেন। তাঁর ডান দিকের পোস্ট ঘেঁষে বল এতটাই নিখুঁতভাবে জালে জড়িয়েছে যে গ্যালিন্দেজ ঝাঁপ দেওয়ার জন্য একটু নড়লেও কোন জাদুবলে যেন অবশ হয়ে গিয়েছিলেন!

দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এর আগে কোনো ম্যাচে ফ্রি কিক থেকে একমাত্র গোলটি হয়েছিল ১৬ বছর আগে। ২০০৭ সালে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে গোলটি করেছিলেন কলম্বিয়ার রুবেন দারিও বাস্তোস। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইতিহাসে ম্যাচে প্রথম গোল করায় নিজের রেকর্ডটাও আরেকটু এগিয়ে নিলেন মেসি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে এ নিয়ে ১৪ বার প্রথম গোল করলেন মেসি। আগের রেকর্ডটি গুয়েতেমালার সাবেক স্ট্রাইকার কার্লোস রুইজের। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এ নিয়ে টানা ২২ ম্যাচ অপরাজিত রইল আর্জেন্টিনা।

এদিকে ব্রাজিল-বলিভিয়া ম্যাচে ৪০ মিনিটের খেলা চলছিল তখন। বাঁ প্রান্তে মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গায় বল পান নেইমার। বল নিয়ে প্রথমে কাটান বলিভিয়ার এক খেলোয়াড়কে। আটকানোর চেষ্টা করেও সেই খেলোয়াড়টি নাগাল পাননি নেইমারের। এরপর আগুয়ান আরেক প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ডজ দিয়ে নেইমার ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষ বক্সে। সেখানে দেয়াল তুলে দেওয়া দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে আরও এগিয়ে যান নেইমার। এরপর নেইমারের সামনে ছিলেন শুধু গোলরক্ষক। কিন্তু নেইমার পারেননি। তাঁর বাঁ পায়ের শট রুখে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।

কিন্তু সেই একটি মুহূর্তে নেইমারের ফুটবলীয় সৌন্দর্য মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখেছে সবাই। আর এই এক মুহূর্তে নেইমার বুঝিয়ে দেন পেনাল্টি মিস দিয়ে শুরু হলেও দিনটি আসলে তাঁরই। বিরতির পর ফিরে এসে নেইমার যেন অপ্রতিরোধ্য। দুই গোল করেছেন নিজে। এক গোলে সহায়তা করেছেন আর অন্য গোলটির উৎসও ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Neymar, #messi, #Brazil, #Argentina

আরো দেখুন