নরওয়ে সরকার জিনাতকে সম্মানিত করেছিল ডাকটিকিটে, কেন জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাংবাদিক থেকে মডেলিং। ৭০ দশকের ‘দম মারো দম’ হাজারো পুরুষের ঘুম উড়িয়ে নিয়েছিলেনএই অভিনেত্রী। হ্যাঁ, রূপোলি পর্দার গল্পের নায়িকা জিনাত আমানের কোমরের ঠুমকায় কম্পন ধরেছিল আসমুদ্র হিমাচলে।
১৯৭০ সালে মিস এশিয়া প্যাসিফিক-এ বিজয়ী হয়েছিলেন জিনাত। বিনোদনের জগতে নতুন স্টাইল আর ফ্যাশনের সংজ্ঞা দিয়েছিলেন তিনি।
তবে বর্তমানে বি-টাউনের অনেক তারকাই দেশের পাশাপাশি বিদেশেরও নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এই তালিকায় একবার নাম লিখিয়েছিলেন প্রবীণ অভিনেত্রী জিনাত আমানও।
নরওয়ে সরকার একসময় নাকি জিনাতের ছবি সহ একটি বিশেষ স্ট্যাম্প জারি করেছিলেন।
সম্প্রতি জিনাত আমান সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছেন যাতে তাঁকে নরওয়ের ডাক বিভাগ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর সেই অতীত সোনালী স্মৃতি শেয়ার করলেন জিনাত আমান। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অবদানের জন্যে অভিনেত্রীর ছবিসহ বিশেষ স্ট্যাম্প প্রকাশ করে তাঁকে সম্মানিত করেছিল।
ইনস্টাগ্রামে জিনাত জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে, অসলোতে একটি চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার সময় তিনি মঞ্চে উঠে নতুন চমক দেখতে পান। নরওয়ের ডাক বিভাগ ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্য একটি বিশেষ ডাক টিকিট জারি করেছিল। এমনকী তাঁর নিজের ব্যবহারের জন্য ৬০ টি স্ট্যাম্পও উত্থাপন করেছিল।
জিনাত আরও জানিয়েছেন যে, তিনি এই অভিনব ঘটনায় রোমাঞ্চ অনুভব করেছিলেন, কিন্তু স্ট্যাম্পগুলি আসলে কাজ করবে কিনা তা নিশ্চিত ছিলেন না। তাই পরের দিন সকালে, তিনি পোস্টকার্ডের একটি রিম কিনেছিলেন এবং তা দিয়ে তাঁর বন্ধুদের কাছে বার্তা লিখেছিলেন, প্রতিটিতে ‘জিনাত আমান’ স্ট্যাম্প মেরে দিয়েছিলেন, এরপর কার্ডগুলি পোস্টবক্সে ফেলেদিয়েছিলেন। কয়েক সপ্তাহ পরে, যখন তিনি বোম্বে ফিরে আসেন, তখন তিনি বন্ধুদের কাছ থেকে টেক্সট এবং কল পেয়েছিলেন। তখনই তিনি বুঝেছিলেন বিষয়টি একেবারে কাজ করে। তবে এই স্ট্যাম্পগুলি একটি সীমিত সংখ্যক প্রকাশ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জিনাত আমানকে শেষ দেখা গিয়েছিল আশুতোষ গোয়ারিকরের ‘পানিপথ’-এ। জানা গিয়েছে, মনীশ মালহোত্রার প্রযোজনার ‘বন টিকি’ অভিনয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই লাস্যময়ী নায়িকা।