গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্যে বাংলাজুড়ে দেদার বিকোচ্ছে মোদক
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামীকাল পয়লা আশ্বিন, গণেশ চতুর্থী। এখন বাংলার বাঙালির গলাতেও শোনা যাচ্ছে ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’। যত দিন যাচ্ছে বাংলায় গণেশ পুজোর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে কলকাতা তথা বাংলাজুড়ে গণেশ পুজোর বৃদ্ধির বহরে ম্লান হয়েছে বিশ্বকর্মা পুজোও। গণেশ চতুর্থীর দিন গণপতি আরাধনার হিড়িকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মোদকের চাহিদা। নামীদামি মিষ্টি প্রস্তুতকারক থেকে শুরু করে পাড়ার ছোটবড় দোকানেও এখন মোদকের দেখা পাওয়া যায়।
ছোটবড় নানা আকারের মোদক জায়গা করে নিয়েছে মিষ্টির দোকানগুলিতে। ক্ষীর, নারকেল, বাদাম, চিনি, গুড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে মোদক। নানা স্বাদের নানা বর্ণের মোদক বিকোচ্ছে। ১০ টাকা থেকে শুরু হয়ে হাজার টাকা পর্যন্ত দামের মোদক পাওয়া যাচ্ছে। আকার ও উপাদানের পার্থক্য দামের তারতম্যের কারণ। বিভিন্ন দোকানে মোদক বিক্রিও হচ্ছে দেদার। গোটা বাংলাজুড়ে একই ছবির দেখা মিলছে।
বাংলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিকে সরিয়ে মোদক সেই জায়গার দখল নিয়েছে। মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা বলছেন, ৫০০ গ্রাম থেকে এক কিলো ওজনের বিভিন্ন মোদকের চাহিদা রয়েছে। লাড্ডু দিয়ে তৈরি বিরাট আকারের এক একটি মোদকের দাম ৮০০ থেকে হাজার টাকা। নানা স্বাদের মোদকের আমদানি হয়েছে। যেমন কেশর, কাজু মোদক, বাটার স্কচ, টুটি ফ্রুটি মোদক। আগামী দিনে গণেশ আরাধনা যে বাঙালির উৎসব তালিকায় স্থায়ী জায়গা করে নেবে তা বলাবাহুল্য।