যন্ত্রের যন্ত্রণা! VLTD-র প্যানিক বাটনে আম বাঙালির কৌতূহলে জেরবার পরিবহণ দপ্তর?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: যন্ত্রের যন্ত্রনায় জেরবার হাওয়ার উপক্রম পুলিশ ও পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের। ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বা ভিএলটিডি-র প্যানিক বটন ঘিরে আম জনতার কৌতূহলের অন্ত নেই। আর এতেই বেঁধেছে বিপত্তি।
পথেঘাটে নারী ও শিশু সুরক্ষার স্বার্থে গণপরিবহণে ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস নামক যন্ত্রটি বসানোর কথা বলা হয়েছিল। বাংলার সমস্ত বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাবে এই প্রযুক্তি বসানো বাধ্যতামূলক করে নবান্ন। যন্ত্রের একটি অংশ হল প্যানিক বাটন। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটলেই, যাত্রী বাটন চাপলেই পরিবহণ দপ্তরের কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের বড় পর্দায় ওই গাড়ির লাইভ লোকেশন ভেসে উঠবে। পুলিশের ইমার্জেন্সি রেসপন্স সার্পোট সিস্টেমে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বাসের অবস্থান দেখে সংশ্লিষ্ট থানা বা টহলদার পুলিশ ভ্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে গাড়িটিকে আটক করা যাবে।
এহেন আধুনিক ও যুগোপযোগী উদ্যোগ এখন যাত্রীর কাছে মজার খোরাক! সারা রাজ্যে স্রেফ আগ্রহের বশে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ বার প্যানিক বাটন চাপছেন কেউ না কেউ। মজা করতে বা অজ্ঞতার কারণে যাত্রীরা যন্ত্রের অপব্যবহার করে চলেছেন। প্যানিক বাটন নিয়ে পুলিশই রীতিমতো প্যানিকে ভুগছে। গত বুধবার পরিবহণ ও পুলিশের শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসেন। পুলিশের দাবি, বেশিরভাগ সময়ই ফলস অ্যালার্ট দিচ্ছেন যাত্রীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, আপত্তিকর কিছুই ঘটেনি। পরিবহণ কর্তাদের দাবি, দায় এড়াচ্ছে পুলিশ। কারণ, পরিবহণ দপ্তর সংশ্লিষ্ট অ্যালার্টগুলি বেছে প্রকৃত ঘটনাগুলির বার্তাই পাঠাচ্ছে পুলিশকে।
প্যানিক বাটনে চাপ দেওয়া মাত্রই পরিবহণ দপ্তরে রেড অ্যালার্ট আসে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট গাড়ির নম্বর, মালিকের ফোন নম্বর ইত্যাদি পেয়ে যান দপ্তরের কর্মীরা। তখনই গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হয়। তারপর তা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। পরিবহণ দপ্তরের অভিযোগ, গোটা জেলায় সারাদিনে প্যানিক বাটন চাপার একটি ঘটনা ঘটলেও পুলিশ পৌঁছচ্ছে না। পাল্টা পুলিশের বক্তব্য, বহু ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকের নম্বর মিলছে না। অনেকক্ষেত্রে যাত্রীর নম্বরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্যানিক বাটনের অপব্যবহার রুখতে পরিবহণ দপ্তর জরিমানার কথা ভাবছে। যে গাড়ি থেকে দিনে একাধিকবার ‘ফলস অ্যালার্ট’ আসবে, তার মালিককেই জরিমানা করা হবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।