ফের আগুন জ্বলছে মণিপুরে, মন্ত্রীর বাড়ি তছনছ করল উত্তেজিত জনতা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মণিপুরের উত্তেজনা থামার কোনও আভাসই মিলছে না। বিগত এত মাস ধরে চলতে থাকা হিংসার আগুনে থেকে থেকেই যেন নতুন করে ঘি পড়ছে। এই আবহে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালায় উত্তেজিত জনতা। এরপর শুক্রবার নতুন করে অশান্তি ছড়াল মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে। ইম্ফল পূর্ব জেলার খুরাই সাজোর লেইকাই এলাকায় স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী এল সুসিন্দ্রোর বাসভবন তছনছ করল উত্তেজিত জনতা।
ঘটনার রেশ দেখা গিয়েছে শনিবার সকালেও। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুদ্ধ জনতার সংঘর্ষ হয়েছে ইম্ফলের বিভিন্ন এলাকায়। মেইতেই জনগোষ্ঠীর দুই পড়ুয়ার খুনের ঘটনার জেরে চলতি সপ্তাহে নতুন করে অশান্ত হয়েছে মণিপুর। গুজব ঠেকাতে মঙ্গলবার থেকে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার ইন্টারনেট পরিষেবার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে, কুকি অধ্যুষিত পাহাড়ি অঞ্চলে আগামী ছ’মাসের জন্য বলবৎ থাকবে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ বা আফস্পা)। কিন্তু তাতে ফল মেলেনি।
এদিকে মণিপুরের বিক্ষোভ দমনে এই প্রথম র্যাাফের ‘পেলেট গান’ ব্যবহার নিয়ে প্রতিবাদ চরমে। বলা হয়ে থাকে, এই অস্ত্র নাকি প্রাণঘাতী নয়। কিন্তু খুব কাছ থেকে ছোড়া হলে ছররাও মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনীর ছররা বন্দুক ব্যবহারের ফলে অনেকের কী ভাবে চোখ নষ্ট হয়েছে— সেই ছবি আগেই দেখেছে দেশ। এ বার মণিপুরে প্রতিবাদী ছাত্রসমাজ, নাবালক বা সদ্য-তরুণদের উপরে যে ভাবে ছররা বন্দুক চালানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।