যন্তর মন্তরে তৃণমূল ধর্নার অনুমতি না পেলেও বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের বসতে দিল দিল্লি পুলিশ! উঠছে প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লির যন্তর মন্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের ধর্না কর্মসূচির দিনেই সেখানে হাজির হয়েছে বাংলার ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। অবাক করা বিষয় হল, যে যন্তর মন্তরে ধর্নার জন্য আবেদন করলেও তৃণমূলকে অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ, সেই যন্তর মন্তরেই ধর্নার অনুমতি পেল চাকরিপ্রার্থীরা! যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ।
সোমবার সকালে পূর্বা এক্সপ্রেসে চড়ে দিল্লিতে পৌঁছন ২০০৯-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রাথমিকে শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীরা। যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেছেন তাঁরা।
সোমবার দিল্লির থানায় গিয়ে যন্তর মন্তরে অবস্থানের জন্য লিখিত ভাবে অনুমতি চান দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীরা। ৩০ মিনিটের জন্য যন্তর মন্তরে বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাঁদের। যন্তরমন্তরের পর রাজঘাটে যাবেন তাঁরা, যেখানে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, সেখানে গিয়েও নিয়োগের দাবিতে অবস্থান করবেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী দপ্তর এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর দপ্তরেও যাবেন চাকরিপ্রার্থীরা।
তৃণমূল নেতৃত্বর বক্তব্য, বিজেপি বাংলার আন্দোলনকে নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত মোদী সরকার। তাই সবদিক থেকে কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করছে।
সোম এবং মঙ্গলবার দিল্লিতে ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র অভিযোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। এই কর্মসূচিকে ঘিরে ‘অতিসক্রিয়’ হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুলিশ বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তাদের কর্মসূচির দিনেই চাকরিপ্রার্থীদের যন্তরমন্তরে হাজির হওয়ার নেপথ্যে বিজেপির হাত দেখছে বাংলার শাসকদল। সম্প্রতি, কলকাতায় চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তৃণমূল নেতৃত্বর অভিযোগ, বাংলার বঞ্চনার দিক থেকে নজর ঘোরাতে তাঁদের আন্দোলনের দিনেই চাকরিপ্রার্থীদের দিল্লিতে পাঠিয়েছে বিজেপি।