দোরগোড়ায় উৎসবের মরশুম, বিকিকিনিতে এগিয়ে কে ই-কমার্স নাকি বাজার-হাট?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোটামুটি গণেশ চতুর্থী থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। সামনেই রয়েছে দুর্গাপুজো, নবরাত্রি, ধনতেরাস, দেওয়ালি ও দীপাবলি, ভাইফোঁটা, ছটপুজো, তারপর ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ার উদযাপন; এই দীর্ঘ দু-আড়াই মাস সময়কে ধরা হয় উৎসবের মরশুম। এই সময় একে অন্যকে উপহার দেওয়া-নেওয়া চলে, নতুন জিনিস কেনা, খাওয়া-দাওয়া, ঘোরা-বেড়ানো সব মিলিয়ে ব্যবসা জমে ওঠে এই সময়ে। ব্যবসায়ীরাও অপেক্ষা করেন এই সময়টার জন্য। ই-কমার্স সাইটগুলিতে উৎসবের মরশুমে অফারের ছড়াছড়ি। জামাকাপড় থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, যেন ছাড়ের প্রতিযোগিতা চলেছে। ই-কমার্সগুলির দাপটের জেরে কিছুটা কি কোণঠাসা দোকানদারি?
ব্যবসায়ীদের মতে, উৎসবের মরশুমে কমপক্ষে তিন লক্ষ কোটি টাকার বিকিকিনি হতে পারে। দেশের অর্থনীতিতে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ই-কমার্সের জেরে আঞ্চলিক দোকান বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলির বিক্রি কি ধাক্কা খাচ্ছে? ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানাচ্ছেন, তাঁদের হিসেব অনুযায়ী দেশের প্রায় তিন কোটি নাগরিক অনলাইনে কিছু না কিছু কেনেন। উৎসবের মরশুমে মাথা পিছু সর্বাধিক আট হাজার টাকার কেনাকাটা হয়। অনলাইন ব্যবসায় খুব বেশি বিক্রি হলেও, কেনাকাটার পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে না।
অন্যদিকে, দেশের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ বাজার-হাট ঘুরে কেনাকাটা করেন। উৎসব উপলক্ষ্যে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ গড়ে পাঁচ হাজার টাকার কেনাকাটা করেন, তাহলেই তিন লক্ষ কোটিতে পৌঁছবে বিকিকিনির পরিমাণ। দেশবাসীর সবাই উৎসবের মরশুমে কিছু না কিছু কেনেনই। আর উৎসবের কেনাকাটা মানে কেবল পোশাক কেনা বা খাওয়াদাওয়া অথবা পর্যটন নয়। গয়না, গাড়ি, বৈদুতিন যন্ত্র, মোবাইল, আসবাব বা দামি কিছুও কেনেন বহু মানুষ। অনলাইন বা বাজার ঘুরে জিনিস কেনা, দেশের মানুষ আজও বাজারহাটকেই বেশি গুরুত্ব দেন।