ইডেনে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল পাকিস্তান
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডের কাছে ৯৩ রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল পাকিস্তান। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করল ইংল্যান্ডও। তবে এই জয়ে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত হয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
প্রথম আট ম্যাচের ছয়টিতে হারায় আজকের ম্যাচটিতে ইংল্যান্ডের খুব বেশি কিছু পাওয়ার ছিল না। তবে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল। পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার ক্ষীণ যে আশা ছিল তা এদিন টস হেরেই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল! আগে ব্যাট করলে ইংল্যান্ডকে প্রায় ৩০০ রানে হারাতে হবে। আর পরে ব্যাট করলে ইংল্যান্ডকে ১০০ রানের মধ্যে অলআউট করে ৩ ওভারের ভেতর তাড়া করতে হবে। দুটির মধ্যে আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে বড় একটা সংগ্রহ গড়াই তুলনামূলক কম কঠিন। তবে সেই ‘কম কঠিন’ পথে হাঁটতে হলে প্রথমে টস–ভাগ্যে জিততে হতো।
আজ জস বাটলারের সঙ্গে টস করতে নেমে এই ভাগ্যকেই সঙ্গে পাননি বাবর আজম। টসে জেতেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, বেছে নেন ব্যাটিং। তাতেই পাকিস্তানের সেমিফাইনালের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যায়। যা কাগজে–কলমে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ১০০ রান পার হয়ে যাওয়ার পর।
এদিন ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রান করে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে যেতে গেলে ৬.৪ বলে এই রান করতে হোত বাবরদের। কিন্তু এই ৪০ বলে টানা ছয় মারলেও ইংল্যান্ডের রান টপকানো সম্ভব নয়। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন স্টোকস। জো রুটের ব্যাট থেকে আসে ৭২ বলে ৬০ রানের ইনিংস। ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর ৬১ বলে করেন ৫৯ রান।
দুই ওপেনার আবদুল্লা শফিক শূন্য ও ফখর জমান ১ রানে আউট হলে। বাবর করলেন ৩৮ রান। পাক অধিনায়ক আউট হতেই ইডেনের গ্যালারি ফাঁকা হতে শুরু করে। ৩৬ রানের মাথায় মহম্মদ রিজওয়ান আউট হওয়ার পরে আরও সমর্থক মাঠ ছাড়েন।
পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র আঘা সলমন ৫১ রান করেন। বাকিরা আদিল রশিদ ও মইন আলির স্পিনের সামনে আত্মসমর্পণ করেন। শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ ও মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র কয়েকটি বড় শট খেলে দর্শকদের বিনোদন দেন। তবে তাতে ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৪৩.৩ ওভারে ২৪৪ রানে অল আউট হয়ে যায় বাবররা।