লাগাতার দল বিরোধী মন্তব্যে পদ খোয়ানোয় অনুপম কী বললেন সমাজ মাধ্যমে?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে অনুপম হাজরাকে সরিয়ে দিল বিজেপি। লাগাতার দল বিরোধী মন্তব্য জারি রেখেছিলেন অনুপম, তাই কি এই অপসারণ? সমাজ মাধ্যমে পদ হারানো গেরুয়া নেতা লেখেন, ‘পদ থেকে সরাবার ঠিক তিন ঘন্টার মধ্যেই বার্তা, কিছু শর্ত মেনে চললে “আবার সব আগের মতো”!!!!’
‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ নিয়েও বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ করেছিলেন অনুপম। দলের অন্দরের খবর, মঙ্গলবার কলকাতায় শাহ-নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে অনুপমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তারপরই কলকাতায় বসে অনুপমকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন নাড্ডা। অমিত শাহের অনুমোদনও মেলো। শাহ-নাড্ডা দিল্লি রওনা হতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে অনুপমের অপসারণের বিবৃতি জারি হয়। এ ঘটনায় আরও বেআব্রু হয়ে পড়ল বঙ্গ বিজেপির কোন্দল।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দল বদলে গেরুয়া টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন অনুপম। কিন্তু ভোটে হারের মুখ দেখেন। তারপর জগৎপ্রকাশ নাড্ডা সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার পরই অনুপমকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদে নিয়ে আসেন। তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর সংঘাত শুরু। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হন, অনুপমের সঙ্গেও তাঁর কোন্দল তীব্র হয়। তারপর লাগাতার দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গিয়েছেন অনুপম, সুকান্ত মজুমজার-সহ রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর একাধিক নেতাকে প্রকাশ্যে তুলোধোনা করতেও ছাড়েননি তিনি।
এই আবহে কেন্দ্রীয় দলে থেকে অপসারণের পর অনুপম হাজরাকে দল থেকে বহিষ্কার কি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা? উঠছে সেই প্রশ্নও। পাশাপাশি অনুপমের ফেসবুক পোস্ট ঘিরেও জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে কি দিল্লির তরফে কোনও বার্তা পেয়েছেন অপসারিত নেতা? উল্লেখ্য, অনুপমকে অপসারণের ফলে আপাতত বিজেপির রাষ্ট্রীয় পদাধিকারীদের তালিকায় আর বাংলা থেকে কোনও নেতা থাকলেন না।