অ্যাপেল-কে চাপ দিয়েছিল মোদী সরকার? বিস্ফোরক দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: সতর্কবার্তার পর অ্যাপেল-কে চাপ দিয়েছিল মোদী সরকার? এমনই বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে মার্কিন মুলুকের প্রথমসারির সংবাদপত্র দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। বিরোধী নেতানেত্রীদের আইফোনে হ্যাকিংয়ের চেষ্টার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছিল, তারপরই গত অক্টোবরে অ্যাপেল সতর্কবার্তা পাঠায়। সতর্কবার্তার গুরুত্ব খাটো করে দেখাতে মার্কিন মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাপেলের উপর চাপ খাটিয়েছিল মোদী সরকার।
সুরক্ষিত নয় আইফোন, আড়ি পাতছে সরকার। গত অক্টোবরে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি ও ইমেল পাঠিয়ে সতর্ক করেছিল অ্যাপেল। আইফোন ব্যবহারকারী বিরোধী নেতানেত্রীদের কাছেই এই বার্তা এসেছিল। যাঁদের কাছে অ্যাপেলের সতর্কবার্তা এসেছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পবন খেরা, সুপ্রিয়া শ্রীনেত, শশী থারুর, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, মহুয়া মৈত্র, রাঘব চাড্ডা ও সীতারাম ইয়েচুরি। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল, সাম্প্রতিক হ্যাকিং হামলার নেপথ্যে ছিল রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট হ্যাকাররা। বেছে বেছে বিরোধী নেতানেত্রীদের কাছে এই বার্তা আসায় প্রশ্নের মুখে পড়ে মোদী সরকার।
যা ঘিরে উত্তাল হয় গোটা দেশের রাজনীতি। অস্বস্তিতে পড়ে মোদী সরকার। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অ্যাপেলের উপর প্রচণ্ড চটে যায় মোদী সরকার। তলব করা হয় সংস্থার ভারতীয় প্রতিনিধিকে। সতর্কবার্তা নিয়ে সরকারের মুখরক্ষার ব্যবস্থা করতে তাঁকে চাপ দেওয়া হয়। মার্কিন সংস্থার এক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞকে দিল্লিতে বৈঠকের জন্য তলব করা হয়। সতর্কবার্তার বিকল্প ব্যাখ্যার বন্দোবস্ত করতে বলা হয় তাঁকে।
অস্বস্তি এড়াতে সতর্কবার্তাকে ফলস অ্যালার্ম বা প্রযুক্তিগত ত্রুটির তকমা দিয়েছেন খোদ মোদী সরকারের তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাফ কথায়, বিরোধীদের আক্রমণকে দমাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল মোদী সরকার। সে’কারণেই কি অ্যাপেলকে চাপ দেওয়া হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন।