বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন দোষী সাব্যস্তের মুক্তির সিদ্ধান্ত রদ করল সুপ্রিম কোর্ট
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, নির্যাতিতার অধিকার সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহিলাদের সম্মান করা উচিত। ২০০২ সালের মে মাসে গুজরাট সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা তথ্য লুকানো ও প্রতারণা।
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময়কালে গণধর্ষিত হন বিলকিস বানো। সেই সময় ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন বিলকিস। তাঁর চোখের সামনেই ৩ বছরের কন্যা সহ পরিবারের ৭ সদস্যকে কুপিয়ে খুন করা হয়।
২০০৮ সালে মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই কোর্ট অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে বম্বে হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। ১৫ বছর কারাবাসের পর, ১১ আসামীর মধ্যে একজন সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট বল ঠেলে দিয়েছিল গুজরাট সরকারের কোর্টে।
এরপর, ২০২২ সালে স্বাধীনতা দিবসের দিন গুজরাট সরকার অভিযুক্তদের মুক্তি দেয়। কিন্তু, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিলকিস বানো গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
১১ দিনের শুনানির পর গত অক্টোবর মাসে এই মামলার রায় সংরক্ষিত রাখে বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চ। এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে বিলকিস বানোর রায়কে বৈধ বলে জানানো হয়।