রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অ্যান্টিবায়োটিকের লাগামছাড়া ব্যবহার রুখতে নতুন গাইডলাইন আনল রাজ্য

January 10, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: যত্রতত্র চলছে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার। এই নিয়ে বিভিন্নসময় কথা হয়েছে। মেরোপেনেম, কার্বোপেনেমের মতো অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকও মুড়ি-মুড়কির মতো গিলছে মানুষ। সাধারণ সংক্রমণের ক্ষেত্রেও যেভাবে দেদার অ্যান্টিবায়োটিক লিখছেন ডাক্তারবাবুরা, তাতে অনেকেই চিন্তা ব্যক্ত করছেন।

পরিস্থিতি এমন হয়েছে ইনডোর-আইসিইউ-আইটিইউগুলিতে ‘বিজয়োল্লাস’ করে বেড়াচ্ছে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট একাধিক ব্যাকটেরিয়া। কারণ, অ্যান্টিবায়োটিক আর কাবু করতে পারছে না তাদের। এই পরিস্থিতিতে কড়া ‘অ্যান্টিবায়োটিক গাইডলাইনস (ভার্সান ১.০-২০২৩)’ আনল রাজ্য।

অ্যান্টিবায়োটিকের লাগামছাড়া ব্যবহার রুখতে রাজ্য সম্প্রতি ৯০ পাতার এই নির্দেশিকা দিয়েছে। বহুল ব্যবহৃত ৫০টি অ্যান্টিবায়োটিক কখন, কোথায়, কীভাবে ব্যবহার হবে—সবটাই বলা হয়েছে সেখানে। শুধু তাই নয়, প্রায় ৩০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে আনা হয়েছে কঠোর বিধি। স্পষ্ট ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে, এসব অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের আগে লিখিতভাবে কারণ জানাতে হবে। নয়তো কেন ব্যবহার করা হয়েছে, সেই নোট পরে লিখে দিতে হবে প্রেসক্রিপশন সহ চিকিৎসার কাগজে।

রাজ্যের প্রায় ২০ জন নামজাদা চিকিৎসককে নিয়ে গঠিত এক্সপার্ট গ্রুপ এই নির্দেশাবলী তৈরি করেছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিশিষ্ট সার্জেন ডাঃ দীপ্তেন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, ‘পশু-পাখি, মাছ, খাদ্যবস্তুতে লাগামছাড়া ব্যবহারের জন্য ইতিমধ্যেই দুই তৃতীংয়াশ অ্যান্টিবায়োটিককে কব্জা করে ফেলেছে ব্যাকটেরিয়া। বাকি এক তৃতীয়াংশ অ্যান্টিবায়োটিক নষ্ট করার জন্য আমরাই উঠেপড়ে লেগেছি। এখন এমন অবস্থা যে আপাত নির্বিষ ফোঁড়া কাটলেও সেখানে মিলছে অ্যাসিনেটোব্যাকটরের মতো ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়া! এরপরও কি আমরা নিজেদের শোধরাব না?’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Guidelines, #State govts, #anti biotics

আরো দেখুন