দেশ বিভাগে ফিরে যান

ভোট আসতেই টনক নড়ল? খাদ্যপণ্যের দাম বাঁধতে মরিয়া মোদী সরকার

January 15, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দোরগোড়ায় ভোট, ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া মোদী কি এবার খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে উঠে পড়ে লেগেছেন? চব্বিশের ভোটে অন্যতম বড় ইস্যু হতে চলেছে মূল্যবৃদ্ধি মূলত খাদ্যপণ্যের দাম। মধ্য ও নিম্নবিত্ত কার্যত বিপন্ন। চাল, ডাল, তেল, আনাজের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে ফুঁসছে আম জনতা। খোদ মোদী সরকারের তথ্য বলছে, বিগত বছর ডিসেম্বরের তুলনায় খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার প্রায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরাঞ্চলে তা পৌঁছছে ৯ শতাংশে। তাই ভোট অবধি, যেকোনওভাবে খাদ্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। কৃত্রিমভাবে হলেও মূল্যবৃদ্ধিতে বেড়ি পরাতে উঠে পড়ে লেগেছে মোদী সরকার।

ইতিমধ্যেই নাকি দাম কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে মোদী সরকার। চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে। রপ্তানি বন্ধ হলে, উৎপাদিত খাদ্যপণ্য দেশেই থাকবে। জোগান বাড়লে দাম কমবে। কিন্তু বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষকদের মধ্যে। মহারাষ্ট্র-সহ কয়েকটি রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে নতুন পেঁয়াজ উঠেছে। রপ্তানি না হাওয়ায় জলের দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। নাসিকের পেঁয়াজ কলকাতার পাইকারি বাজারে পরিবহণ ব্যয় সমেত মাত্র ১০-১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাফ কথায়, রপ্তানি বন্ধ থাকায় চাষিদের সর্বনাশ হচ্ছে।

অন্যদিকে, চালের দাম নাগালে রাখতে মোদী সরকার, ভাণ্ডারে থাকা বিপুল পরিমাণ চাল ‘ওপেন সেল স্কিমে’ কম দামে সরাসরি ব্যবসায়ীদের বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সাড়া মেলেনি। তিন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টন ২৫ টাকা কেজি দরে সরাসরি বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২৩২ কোটি টাকা ভর্তুকির অনুমোদন হয়েছে। ৩১ মার্চ অবধি বিক্রি চলবে। মনে করা হচ্ছে, ভোট অবধি চালের দাম নিয়ন্ত্রণেই রাখবে মোদী সরকার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#modi govt, #cost, #Good products

আরো দেখুন