বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

কীভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল কালাজ্বরের ওষুধ?

February 6, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একদা কালাজ্বর ছিল মহামারী, উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান মারণ রোগ বললেও ভুল কিছু বলা হয় না। সেই রোগ থেকে নিরাময়ের পথ বাতলে দিয়েছিলেন উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী। চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই কিংবদন্তির আজ মৃত্যুদিন। ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুলে শিক্ষক ও চিকিৎসক হিসেবে কাজ করা এই বঙ্গসন্তানের জীবনের অন্যতম সেরা আবিষ্কার ছিল কালাজ্বরের ওষুধ। কালাজ্বর নিয়ে লিখে ফেলেছিলেন বই, নাম ‘আ ট্রিটিস অন কালাজ্বর’। ১৯০৫ সালে কলকাতায় বদলি হয়ে আসেন উপেন্দ্রনাথ। বাংলা, অসম, বিহার, ওড়িশা, মাদ্রাজ তখন কালাজ্বরের দাপট। সে’সময় কালাজ্বর মানেই মৃত্যু।

১৯০৩ সালে কালাজ্বরের কারণ আবিষ্কার হয়। জানা যায়, পরজীবী ‘লিশম্যানিয়া ডোনোভ্যানি’ রোগটির জন্য দায়ী। দেড় দশক গবেষণা করে ১৯২১ সালে উপেন্দ্রনাথ আবিষ্কার করলেন এক বিশেষ রাসায়নিক, নাম ‘ইউরিয়া স্টিবামাইন’। ততদিনে বিশ্ব জেনে গিয়েছে কালাজ্বরের জন্য দায়ী পরজীবীটির বাহকটি হল স্যান্ড ফ্লাই। উপেন্দ্রনাথ, ইন্ডিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সামান্য আর্থিক অনুদান পেলেন। সদ্য এমএসসি পাশ করা তিন ছাত্র ও দু’জন কম্পাউন্ডারকে নিয়ে তাঁর গবেষণা চলল। ইউরিয়া স্টিবামাইনের কথা ১৯২২ সালে ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এ প্রকাশিত হল, জানানো হল যৌগটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সাহেব কর্তারা বিশেষ পাত্তা দিলেন না। উপেন্দ্রনাথের আবিষ্কৃত ওষুধ চিন, গ্রিস, ফ্রান্স, ইটালিতে ব্যবহৃত হতে আরম্ভ করল। বাড়ির একাংশে গড়লেন ‘ব্রহ্মচারী রিসার্চ ইনস্টিটিউট’। যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য নোবেল কমিটির কাছে তাঁর নাম পৌঁছলেও, উপেন্দ্রনাথের নোবেল প্রাইজ পাওয়া হয়নি। তবে রয়্যাল কলেজ অব মেডিসিন, রয়্যাল কলেজ অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিনের মতো সংস্থা ফেলো হয়েছিলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kala Azar, #Medicine

আরো দেখুন