মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নির্মলার দেওয়া তথ্য উড়িয়ে দিল RBI
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কিছুদিনের মধ্যেই লোকসভা ভোট। তার আগে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তাঁর সরকার মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। বরং কংগ্রেস এবং মূল্যবৃদ্ধি সমার্থক।’ সেই সুরেই সুর মিলিয়ে রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাবি ছিল, ‘কোথায় মূল্যবৃদ্ধি? এখন তো জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে। বরং মূল্যবৃদ্ধি কমানোর সব কৃতিত্ব কেন্দ্রের।
কিন্তু যাদের ভোটের দায় নেই এবং পরিসংখ্যান ও নথিই শেষ কথা, সেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সহমত নয়। উল্টে মূল্যবৃদ্ধি না থাকার দাবি স্রেফ উড়িয়ে দিচ্ছে তারা। তিনদিন ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার কমিটির সিদ্ধান্ত, রেপো রেট একই থাকবে। ৬.৫ শতাংশ। এই নিয়ে ষষ্ঠবার। কেন? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস রাখঢাক না করে স্পষ্ট জানালেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে। কিন্তু স্বাভাবিক বলা যাবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সীমাকে মূল্যবৃদ্ধির হার স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করে, সেই ৪ শতাংশ স্পর্শ করতে এখনও অনেক দেরি। বরং প্রধান প্রায় সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার চড়া।’
সোজা কথায়, রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নানাবিধ দাবিকে তথ্য দিয়েই উড়িয়ে দিলেন আরবিআই গভর্নর। সেইসঙ্গে বাজেট বক্তৃতাকেও। কারণ, নির্মলা জানিয়েছেন, আগামী বছর জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৭.৩ শতাংশ। কিন্তু শক্তিকান্ত দাস বৃহস্পতিবার সাফ বলেছেন, গ্রোথ ৭ শতাংশের বেশি হবে না। আর মূল্যবৃদ্ধি? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, চলতি আর্থিক বছরের মূল্যবৃদ্ধির হার থাকবে প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ। সাড়ে ৪ শতাংশ পৌঁছতেই এখনও এক বছর। তাই এখনই রেপো রেট কমানো যাবে না। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের উপর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পদক্ষেপের ফল কী? ব্যাঙ্কঋণের উপর সুদের হারে রেহাই নেই। অর্থাৎ, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে চড়া ইএমআই গুনে যাওয়াই ভবিতব্য মধ্যবিত্তের। এই ভোটের বছরেও।