বালুরঘাটে জয় নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও, বিজিপি এখনও পর্যন্ত ৪২টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে৷ বালুরঘাটে (Balurghat) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরে বুড়াকালী মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করলেন লোকসভা নির্বাচনের প্রচার৷ এই বালুরঘাট কেন্দ্রের সাংসদও তিনি৷
সুকান্ত কি এবার নিজের কেন্দ্রে জয় নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন? এরকমই একটি প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বালুরঘটানের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। কারণ, সোমবার বালুরঘাটে পা দিয়েই সুকান্ত বলেন, জেলার একমাত্র মন্ত্রী ছিল। তাঁকে ইস্তফা দিয়ে ভোটে দাঁড়াতে হবে। যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই, বিপ্লব মিত্র (Biplab Mitra) জিতে গেলেন। তাহলে কী হবে? দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে একমাত্র মন্ত্রী। সেই মন্ত্রীও গেল। কারণ, কেন্দ্রে তো মোদী সরকার হবে। মন্ত্রী হওয়ার কোনও চান্স নেই। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) জেলার মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষকে বঞ্চিত করতে এবং বিপ্লববাবুকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর জন্য তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে।
এই মন্তব্যেই সুকান্তের হারের গন্ধ পাচ্ছে শাসক শিবিরও। তাদের দাবি, বিপ্লবকে প্রার্থী করায় ভয় ধরে গিয়েছে বিজেপির (BJP) অন্দরে। তাই সুকান্তের গলায় ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। তাঁর এমন মন্তব্যে প্রথম দিকে দলীয় কর্মীরাও ধন্দে পড়েন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, বিপ্লব মিত্র প্রার্থী হওয়ায় সুকান্তবাবু ভয় পাচ্ছেন। তিনি বুঝে গিয়েছেন হার নিশ্চিত। তাই মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর বিষয়ে ভাবছেন। বিপ্লববাবুর মন্ত্রিত্বের বিষয় আমাদের সর্বোচ্চ নেত্রী ভাবছেন। সুকান্তকে ভাবতে হবে না।
বিপ্লববাবুকে কটাক্ষ করে সুকান্ত (dr Sukanta Majumdar) বলেন, তিনি সিনিয়র নেতা। তাঁকে সম্মান জানিয়েই বলছি তাঁকে এই জেলা ও উত্তরবঙ্গ ছাড়া বাইরের জেলার মানুষ চেনে না। অর্পিতা ঘোষকে তবুও মানুষ চেনে। তাই অর্পিতা ঘোষকে হারাতে পারলে বিপ্লববাবুকেও হারাতে পারব। জেলায় একটি কাজের নাম বলুন যা তিনি করেছেন। খোঁজ নিয়ে দেখুন, তিনি ও তৃণমূল নেতারা কলকাতা থেকে যে ট্রেনে ফিরছেন, সেই ট্রেনটিও সুকান্ত মজুমদারের চালু করা।