ভোট প্রচারে বিয়ের মতো পবিত্র রীতিকেও কদর্য আক্রমণ BJP-র?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বিজেপির অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে ২৬ মার্চ একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। নির্বাচনী প্রচারের সেই ভিডিওতে, বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র শরিকদের অনুকরণে চরিত্রায়ন করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, তেজস্বী যাদব, কেজরিওয়াল, স্ট্যালিন প্রমুখ বিরোধী নেতাদের মতো করে সাজানো হয় চরিত্রদের। ভিডিও দেখা যাচ্ছে, একটি মেয়ের বিয়ে সম্বন্ধ দেখা চলছে। সেখানে সকলেই পাত্র হিসেবে নিজেকে দাবি করছেন। এরপরই বলা হয় যাঁরা পাত্র ঠিক করতে পারছেন না তাঁরা প্রধানমন্ত্রী কী করে ঠিক করবেন?
প্রশ্ন উঠছে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা আর বিয়ের মাধ্যমে জীবন সঙ্গী বাছা কি এক? এ ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অভিযোগ উঠছে, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে বিজেপি বিয়ের মতো সনাতনী সংস্কৃতিকে বাজারে নামিয়ে আনল। ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে এক সঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার করা হয় বিয়েতে, যা শাস্ত্রসম্মত। বেদ, উপনিষদেও এর উল্লেখ রয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতির এমন অবিচ্ছেদ্য অঙ্গকে ঠুকে কেন বিরোধীদের আক্রমণ করতে হল বিজেপির? উঠছে প্রশ্ন।
এহেন বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বিয়ের খুবই পবিত্র রীতি। পারস্পরিক বিশ্বাস ও ভালবাসার উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি সম্পর্ক হল বিয়ে, যা রক্তের না হওয়া সত্ত্বেও, তার চেয়ে শক্তিশালী এবং জীবনের অন্যান্য সমস্ত সম্পর্কের ভিত্তি। বিজেপির এই অশ্লীল বিজ্ঞাপন আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তাদের রক্ষণশীল দৃষ্টিতে একজন মহিলার অস্তিত্ব হল লেহেঙ্গা পরা, কনে হওয়া এবং বরকে প্রভাবিত করা। কিন্তু বর খোঁজা আর প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে।
কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতের মতে, ‘বিয়ে একটি পবিত্র জিনিস। বিজেপির রক্ষণশীল মনোভাবই বিজ্ঞাপনে উঠে এসেছে।’
শিবসেনার উদ্ধব শিবিরের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, ‘মহিলারা শুধু সেজেগুজে পুরুষের মন জয়ের চেষ্টা করবে—এই সেকেলে ধারণায় বিশ্বাসী বিজেপি। ভোটারদেরও তারা সেই চোখেই দেখে। তবে মহিলারাও কিন্তু নিজেদের ভালোবাসা ও রাজনৈতিক বিশ্বাস আলাদা করতে জানেন।’