কৃষকও নির্বাচনী বন্ডে চাঁদা দিয়েছে BJP-কে? মোদী রাজ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এক কৃষকও নির্বাচনী বন্ডে চাঁদা দিয়েছেন বিজেপিকে? এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে গুজরাতের কচ্ছে। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে মোদী রাজ্য গুজরাতের এক কৃষক নির্বাচনী বন্ডে প্রায় ১১ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছেন। তারমধ্যে ১০ কোটি গিয়েছে বিজেপির তহবিলে। আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি কোম্পানির কয়েকজন আধিকারিক এবং এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য কুইন্ট-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, স্টেট ব্যাঙ্কের নথি থেকে জানা গেছে, ২০২৩-র ১১ অক্টোবর আনজারের বাসিন্দা ওই দলিত কৃষকের পরিবারের ছয় সদস্যের নামে ১১ কোটি ১৪ হাজার টাকার বন্ড কেনা হয়। ১৬ অক্টোবর ১০ কোটি টাকার বন্ড ভাঙায় বিজেপি (BJP)। দু’দিন পর বাকি ১ কোটি ১৪ হাজার টাকা ভাঙায় শিবসেনা। জমি বেচতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয় বলে ওই কৃষক (Farmer) পরিবারের সদস্য সাভাকারা মানভরের অভিযোগ করছেন। গত ১৮ মার্চ এই ঘটনায় আনজার থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। পুলিশ কোনও এফআইআর দায়ের করেনি। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক শৈলেন্দ্র সিশোদিয়া জানিয়েছেন, অভিযোগকারীর আবেদন খতিয়ে দেখে অভিযোগের সারবত্তা মিললেই এফআইআর দায়ের হবে।
মানভরের পরিবারের দাবি, ওয়েলস্পান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে এক কোম্পানি তাঁদের থেকে ৪৩ হাজার বর্গমিটার মাপের একটি কৃষিজমি কেনে। জমির দাম ঠিক হয় ১৬ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল। বাকি টাকা জমির সাতজন মালিকের যৌথ অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। মানভরের ছেলে হরেশ সাভাকারা অভিযোগ, মহেন্দ্র সিং সোধা নামে কোম্পানির ম্যানেজার আয়কর সংক্রান্ত ঝামেলার কথা বলে নির্বাচনী বন্ডে (Electoral Bonds) টাকা রাখার পরামর্শ তবে তাঁদের। সেখানে টাকা রাখলে কয়েক বছরে দেড়গুণ টাকা পাওয়া যাবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। হরেশের দাবি, তাঁরা লেখাপড়া জানেন না। বন্ড সম্পর্কেও কিছুই জানতেন না। মহেন্দ্রর পরামর্শ মেনে নিয়েছিলেন তাঁরা। ২০২৩-র অক্টোবরে কোম্পানির গেস্ট হাউসে সোধার সঙ্গে মানভর ও তাঁর ছেলে হরেশের বৈঠক হয়। অভিযোগ উঠছে, আনজার শহরের বিজেপি (BJP) সভাপতি হেমন্ত রজণীকান্ত শাহও বৈঠকগুলিতে হাজির ছিলেন। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের নিরক্ষর কৃষকদের ঠাকাচ্ছে বিজেপি?