কমিশন নীরব দর্শক, অনুশোচনা দূরস্থ ঘৃণা ভাষণ ও মেরুকরণে অনড় মোদী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিন্দুমাত্র অনাশোচনা নেই মোদীর, উল্টে ইঙ্গিত দিচ্ছেন যা বলেছেন বেশ করেছেন, আবারও বলবেন দরকারে। নির্বাচনী প্রচারে রাজস্থানে গিয়ে বিদ্বেষ ছড়িয়ে এসেছেন মোদী, যা ঘিরে গোটা দেশ উত্তাল। কিন্তু মোদী নিজের অবস্থানে অনড়। অন্ধ মেরুকরণের রাজনীতি ও বিদ্বেষ ভাষণের (Hate রাস্তা থেকে তিনি সরবেন না কিছুতেই। বিরোধীরা আক্রমণ শানানোয় মোদীর মত, বিরোধীদের লঙ্কার জ্বলুনি হয়েছে।
রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় দু’দিন আগে নির্বাচনী জনসভা থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদী বলেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশবাসীর সম্পদ কেড়ে নিয়ে ‘যাদের বেশি সন্তান হয়’, সেই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিলিয়ে দেবে। সরাসরি মুসলমানদের টার্গেট করেন তিনি। আরও বলেন, মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্রও থাকবে না। সেটাও কেড়ে নেবে কংগ্রেস।প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিদ্বেষমূলক ও সাম্প্রদায়িক প্রচার শুরু করেছেন বলে অভিযোগ আনছে কংগ্রেস-সহ গোটা ইন্ডিয়া জোট। নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিরোধীদের আক্রমণকে পাত্তা দেননি মোদী (Narendra Modi)। মঙ্গলবার রাজস্থানের টঙ্কে নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, রবিবার কিছু কথা বলেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, কংগ্রেসের গোপন লক্ষ্য ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি। যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন। আর সেটা শুনে কংগ্রেস ও বিরোধীদের মধ্যে লঙ্কার জ্বলুনি হয়েছে। দিশাহারা হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। তাই সর্বত্র এরা আক্রমণ করছে।
নিজের অবস্থানে অনড় থেকে তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস বলেছে যে, তারা অনগ্রসরদের থেকে সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিলি করবে। জনসাধারণের সম্পত্তি হরণ করার চক্রান্ত করছে কংগ্রেস। সংবিধান যখন তৈরি হয় তখন ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা হয়নি। আপত্তি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অধিকার সবার আগে। মোদী আরও বলেন, কংগ্রেসের শাসনে হনুমান চালিশা পাঠ করা অপরাধ। এর আগে রাজস্থানে কংগ্রেস আমলে রামনবমীর অনুমতি দেওয়া হয়নি। এবার বিজেপির সরকার আসায় শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী হয়েছে। মোদীর মঙ্গলবারের ভাষণে স্পষ্ট, তিনি ইচ্ছে করেই মেরুকরণের রাজনীতিকে অক্সিজেন দিতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।