মোদী-শাহের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে কীসের ভয়? কমিশনকে প্রশ্ন INDIA জোটের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী-শাহের ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা, লাগাতার মিথ্যাচারের পরও কেন চুপ কমিশন? ‘মডেল কোড অব কনডাক্ট’ কি ‘মোদী কোড অব কনডাক্ট’ হয়ে গিয়েছে? মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে কার্যত একের পর এক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ বিদ্ধ করল বিরোধী ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance)। কমিশনকে বিরোধীদের প্রশ্ন, ভোট মিটলে ব্যবস্থা নেবেন? নির্বাচনী প্রচারে বারবার ধর্মীয় মেরুকরণের লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সব মিলিয়ে ১৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তিন দফায় ভোটও হয়ে গেল; কীসের ভয়ে মোদী, শাহদের বিরুদ্ধে নীরব কমিশন?
শুক্রবার, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি, সলমন খুরশিদ, ডিএমকের টি আর বালু, সিপিএমের নীলোৎপল বসু, ফরওয়ার্ড ব্লকের জি দেবরাজন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার মহুয়া মাজি-সহ ১১ দলের প্রতিনিধি কমিশনে (ECI) গিয়েছিলেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ ফুল বেঞ্চের সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন। ডেরেক; রাজীব কুমারকে তাঁর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষাতেই আক্রমণ করে বলেন, মডেল কোড অব কনডাক্টের মানেই বদলে দিয়েছে কমিশন। কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। এমসিসি মানে মোদী কোড অব কনডাক্ট হয়ে গিয়েছে। এটা লজ্জাজনক।
কিছুদিন আগেই ভোটদানের হার সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছিলেন ডেরেক এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কেবল শতাংশ-সংখ্যা নয়, কেন প্রকৃত ভোটদাতার সংখ্যা প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না? প্রশ্ন ছিল দুই বিরোধী নেতার। তারপরই তাঁরা কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান। সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টা আগেই মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে পাল্টা চিঠি দিয়ে বিতর্কে জল ঢালার চেষ্টা করে কমিশন। কমিশনের পক্ষে সিনিয়র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সুমিত মুখোপাধ্যায় চিঠিতে খাড়্গের অভিযোগ মিথ্যে বলেই দাবি করা হয়। এবারই প্রথম নয়। এর আগেও ভোটের দিন ভোটদানের হার ও পরে সংযোজিত রিপোর্টে তা বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলেও উদাহরণ দিয়েছে কমিশন। পাল্টা সিংভি বলেন, এক দু শতাংশ বাড়তে পারে। কিন্তু ৬ শতাংশ? এটা কী করে সম্ভব? কমিশনকে স্পষ্ট করতেই হবে। ভোটদানের প্রকৃত সংখ্যা না প্রকাশ করায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এডিআর কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে।