রায়ে বিচারপতিদের রাজনৈতিক চিন্তাধারার প্রতিচ্ছবি, মত প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের মত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের একাংশের রায়েই তাঁদের রাজনৈতিক চিন্তাধারা ধরা পড়েছে। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগ এবং দুর্ভাগ্যজনক। শনিবার তিনি দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের ডাকে কলকাতায় দুটি সভা করেন।
প্রশান্ত ভূষণ বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের নানান মন্তব্য, এমনকী রায়ের মধ্যে তাঁদের রাজনৈতিক সংস্রব ধরা পড়ছে। যা আরও পরিষ্কার হয়েছে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মাধ্যমে। তিনি তো সরাসরি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। তবে কেবল কলকাতা হাইকোর্ট নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই আদালত নিয়ে এই ধরনের অভিযোগ সামনে আসছে বলেই জানান প্রবীণ আইনজীবী।
এ দিন ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে মোদী ও বিজেপির সমালোচনা করেন তিনি। প্রশান্ত জানান, সম্প্রতি আরও একটি মামলা তিনি সুপ্রিম কোর্টে ফাইল করেছেন। যেখানে তাঁদের দাবি, এই বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো যে সব টাকা তুলেছে, সেগুলো তাদের ফেরত দিতে হবে। প্রশান্তর মত, এটা (ইলেক্টোরাল বন্ড) যে একটা দুর্নীতি, তা নিয়ে এখন আর কোনও সন্দেহ নেই। দুর্নীতির টাকা আসলে মানুষের টাকা। সেই টাকা ফেরত দিতেই হবে। তিনি আশা করছেন, সুপ্রিম কোর্ট ন্যায়বিচার করবে।
ইডি-সিবিআই-আয়কর দপ্তরের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করে দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা নিয়ে মোদী-শাহকে কটাক্ষ করেন প্রশান্ত। তোপ দাগেন ইডি-সিবিআইয়ের অফিসারদের বিরুদ্ধেও। প্রশান্ত ভূষণের দাবি, ইলেক্টোরাল বন্ডের মতো এত বড় দুর্নীতি হয়েছে। যেখানে মানি লন্ডারিং স্পষ্ট। সে’সব দেখেও ইডি-সিবিআইয়ের যে’সব অফিসার কোনও তদন্ত করেননি বা চুপ করে বসে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হবে। তাঁদেরও জেলে যেতে হবে। ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে সত্যিকারের তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিট গঠন করতে হবে। প্রশান্তর মতে, এবার মোদী ক্ষমতায় আসছেন না। সেটা তাঁর আচার-আচরণ, সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা, আদানি-আম্বানিকে নিয়ে তাঁর মন্তব্য এবং শেয়ার মার্কেটে ধস নামাই প্রমাণ করে দিচ্ছে।