হার্পার লি’র বু র্যাডলে, ডিকেন্স’র মিস হাভিশামের মতো নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন অধীর?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গড় রক্ষায় একা, নিঃসঙ্গ অধীর! বহরমপুর কেন্দ্র থেকে পাঁচ বারের সাংসদ তিনি, লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, এআইসিসি-র ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও পিএসি’র চেয়ারম্যান। কিন্তু কোথায় এআইসিসি! বহরমপুরে অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) লড়লেন একা, রবিন হুডের টিম ম্যানদের দেখা গেল না গোটা পর্বে।
ভোটের মাত্র দু’মাস আগে মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুরে (Berhampore) ন্যায় যাত্রা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সে’সময় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল চোখের পড়ার মতো। কিন্তু অধীরের ভোটে কংগ্রেসের কোনও সর্বভারতীয় নেতারা প্রচারে আসেননি, এমনকি অধীরের ভোটের ব্যাপারে কোনও খোঁজও নেননি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্যের কংগ্রেস শিবিরে অন্দরেরও উঠছে প্রশ্ন। বাংলার কংগ্রেসের নেতারাও অবাক!
অধীরের সাফ কথা, তাঁর লড়াই তিনিই লড়ছেন। কেউ কিছু জানতে চায়নি। খোঁজ নেয়নি। শোনা যাচ্ছে, রাজ্যের এআইসিসি পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মিরও খোঁজ করেননি। অধীর দুর্ভাগ্যজনক বলে বিষয়টাকে পাত্তা দিতে চাইছেন না। দীর্ঘদিন ধরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে বিজেপির যোগের অভিযোগে সরব তৃণমূল কংগ্রেস।
সন্দেশখালিকাণ্ডে এআইসিসির (AICC) মুখপাত্র পবন খেরা তৃণমূলের সুরে মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ অধীর বলেন, রাজ্যের বিষয়ে কিছু বলার আগে সর্বভারতীয় নেতারা যেন দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে একটু জেনে নেন! কার্যত বোঝা যায় অধীরকে খুব একটা পাত্তা দেন না হাইকমান্ড ও হাইকমান্ড ঘনিষ্ঠ নেতারা।
আদতে অধীর নিজেই সমান্তরাল দল হয়ে বসেছেন। নিজের মতো করে চালাচ্ছেন কংগ্রেসের প্রদেশ শাখাকে। শোনা যায়, অধীরের জন্যেই বঙ্গে ভেস্তে গিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এতেই তিনি আরও একা হয়ে পড়েছেন দলের অন্দরে। বামদের পেয়েছেন বন্ধু হিসেবে কিন্তু সে জোট টিকবে কতক্ষণ! হার্পার লি’র বু র্যাডলে, ডিকেন্স’র মিস হাভিশামের মতো নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন অধীর। পাশে কেউ নেই। নির্বাচনের প্রচার পর্বে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন, প্রতিপক্ষ দলের কর্মী থেকে সাংবাদিক, কারও দিকে তেড়ে গিয়েছেন, কাউকে ধাক্কা মেরেছেন। এতেই আরও আরও একা হয়ে পড়ছেন বহরমপুরের স্ব-পারিষদকূল-ঘোষিত রবিন হুড।