BJP-র হিন্দুত্ব রাজনৈতিক! কেন এমন বলছেন মোদী সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ জ্যোতির্ময় পীঠের শঙ্করাচার্য?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তরাখণ্ডের জ্যোতির্ময় পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীর দাবি, গণতন্ত্র নেই দেশে। আতঙ্কের পরিবেশ। আরও বলছেন, মোদীকে নিয়ে তাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতেই গো-সেবক প্রার্থীকে প্রার্থিপদ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। শঙ্করাচার্যের অভিযোগ, গো-সেবক প্রার্থীর সমর্থকদের যোগী প্রশাসন ভয় দেখাচ্ছে। সেখানকার মেয়র না-কি রাত ২টোয় দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে। সাফ হুমকি দিচ্ছে, নাম প্রত্যাহার করতে হবে।
স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, বারাণসীতে অন্ধ্রপ্রদেশের গো-সেবক শিবকুমার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি গো-মাতা জোটের অন্তর্ভুক্ত এবং তাদের অনুমোদিত প্রার্থী। এখন বারাণসীর মেয়র তাঁর সমর্থকদের ভয় দেখাচ্ছেন! প্রস্তাবকদের সরিয়ে দিয়ে গো-সেবক শিবকুমারের মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে বিজেপি। তাঁর দাবি, গো-মাতাকে রক্ষা করতে দেশের অনেক জায়গায় প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ বারাণসীতেই এই হাল কেন? পাঁচ মাস আগেই বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির মতো বড় দলগুলিকে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার শপথ নিতে বলা হয়েছিল। কেউ তাতে আমল দেয়নি। যদিও বুধবার শিবকুমারের মনোনয়ন গৃহীত হয়েছে।
শঙ্করাচার্য অভিযোগ, তাঁকেও চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মঠ ধ্বংস করে দেওয়া হবে। এমন একজন ভুয়ো শঙ্করাচার্যকে খাড়া করা হচ্ছে, যিনি গো-মাতা রক্ষার কাজে নিযুক্তই নন! তিনি আরও বলেন, তিনি কোনও দলের বিপক্ষে নন। বিজেপি জিতলে বা হারলে কিছু যায় আসে না। রাজনীতির সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁরা গো-হত্যা বিরোধী আইন চান। তাঁর সাফ কথা, বিজেপির হিন্দুত্ব রাজনৈতিক। রাজনীতির স্বার্থে হিন্দুত্বকে যে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাও সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন শঙ্করাচার্য। তাঁর কথায়, দেশে এখন প্রকৃত হিন্দুত্ব দরকার। ১০ বছর সরকারে থাকার পরও যিনি গো-হত্যা বন্ধে আইন করতে পারেননি, তিনি রাজনৈতিক হিন্দু। যারা সত্যি বলে, উনি তাদেরও বিরোধিতা করেন।