চার হাজার কোটিরও বেশি খরচ করে গ্রামের স্বাস্থ্য পরিষেবা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গ্রামবাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। এর জন্য খরচ হবে ৪ হাজার কোটিরও বেশি টাকা। বিশ্বব্যাঙ্ক এই বিপুল অঙ্কের অনুদান দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।
সূত্রের খবর, রাজ্য বাজেটের অর্থবরাদ্দ ছাড়াও স্বাস্থ্যদপ্তরের বিপুল কর্মকাণ্ডে আরও বেশ কিছু প্রকল্পের অর্থ আসে। যেমন, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (যার অর্থ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে), পঞ্চদশ অর্থ কমিশন, আরআইডিএফ বা রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট এবং এমএসডিপি বা মাল্টি সেকটরাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। এছাড়া হাতেগোনা কয়েকটি জেলা বিআরজিএফ বা ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ডও পেয়ে থাকে। রাজ্য বাজেট এবং এই সমস্ত খাতের বরাদ্দ অর্থে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার বিভিন্ন কাজ করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বহু কাজ হয়েছে। যেমন, প্রাথমিক, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ এবং সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি। এছাড়াও তৈরি করা হচ্ছে বিপিএইচইউ বা ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিট। তৈরি হচ্ছে ডিস্ট্রিক্ট ইনটিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিও (জেলায় এক ছাতার তলায় নিখরচায় বিভিন্ন ধরনের রক্তপরীক্ষার ব্যবস্থা)। কিন্তু, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অর্থাসাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবক’টি জনমুখী কাজই ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। শেষে রাজ্য সিদ্ধান্ত নেয়, স্বাস্থ্য মিশনের টাকা কবে আসবে, তার জন্য তীর্থের কাকের মতো বসে থাকবে না তারা। তাই সরকারি জনমুখী প্রকল্পগুলি চালু রাখতে গ্রামীণ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে দেয় তারা।
বাম জমানায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রের জন্য আসা বিশ্বব্যাঙ্কের টাকা (এইচএসডিপি-২) নিয়ে বিস্তর নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল। অকারণে চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্র কেনা, কারণ ছাড়াই গুচ্ছ গুচ্ছ কম্পিউটার কেনার মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। এবার যাতে তেমন কোনও অভিযোগ না ওঠে, তা নিশ্চিত করাই আপাতত বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে স্বাস্থ্যভবন। দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘বিশ্বব্যাঙ্কের অর্থসাহায্য মিললে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের থমকে থাকা কাজগুলি ফের শুরু করতে পারা যাবে। শুরু করা যাবে নয়া জনমুখী প্রকল্পও।’