রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাংলার নিজস্ব শাড়ি শিল্পকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য বড় উদ্যোগ নিল রাজ্য

June 24, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার নিজস্ব শাড়ি শিল্পকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য বড় উদ্যোগ নিল রাজ্যসরকার। এই উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন বাঁচবে বাংলার শাড়ি, তেমনি বাংলার শাড়ি তৈরির সঙ্গে যে শিল্পীরা জড়িয়ে রয়েছেন তাঁদেরও আর্থিক উন্নতি হতে পারে। সেই নিরিখেই এবার নয়া উদ্যোগ।

কয়েকদিন আগেই ‘বাংলার শাড়ি’ নিয়ে একটি বড় ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে বিপণি তৈরির কথা বলেছিলেন তিনি। যেখানে স্বল্প মূল্যে পাওয়া যাবে ভালো কোয়ালিটির শাড়ি। এর জন্য আর দেশ, বিদেশ ছুটতে হবে না। এবার এই নিয়েই সামনে এল বড় আপডেট।

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুজোর আগেই ‘বাংলার শাড়ি’র বিপণি শুরু করে দিতে চায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাই নবান্নের তরফ থেকে অবিলম্বে জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্গাপুজো মানে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। পুজো আসার কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় সাজো সাজো রব। ‘ফেস্টিভ মুডে’ চলে যায় প্রায় প্রত্যেক বাঙালি। সেই কথা মাথায় রেখেই পুজোর আগে ‘বাংলার বিপণি’ চালু করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। বাংলার শাড়ির প্রথম দুটি বিপণির মধ্য়ে একটি খুলবে কলকাতার ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপনে। সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্য়োগ নেওয়া হচ্ছে। দিঘায় অপর একটি আউটলেট খোলা হবে। তার তোড়জোড়ও চলছে। অর্থাৎ যারা দিঘাতে বেড়াতে যাবেন তাদের কাছে এবার বাড়তি পাওনা এই বাংলার শাড়ি’র কাউন্টার।

রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন বাংলায় শাড়ি শিল্পের কদর বৃদ্ধি পাবে, তেমনই কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের প্রচুর ছেলেমেয়েরাই এখানে কাজ করার সুযোগ পাবে। তাঁতিরাও লাভবান হবেন। তবে সবার উপরে একেবারে ন্যায্য দামে শাড়ি কেনার জন্য এই আউটলেটে আসতে পারেন। কারণ এখানে ঠকার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কম।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#fashion, #Nabanna, #Sarees, #Bengal Sarees, #West Bengal

আরো দেখুন