ছ’মাসেই রামমন্দিরে ফাটল! গর্ভগৃহে চুঁইয়ে পড়ছে জল, প্রশ্নের মুখে মোদী সরকার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রথম বর্ষাতেই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে রামমন্দিরের গর্ভগৃহে। মাত্র ৬ মাসে এমন শোচনীয় পরিস্থিতি যে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে টর্চ জ্বেলে করতে হচ্ছে রামের আরতি। এমতো অবস্থায় দ্রুত কোনও ব্যবস্থা না নিলে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে রামলালার মন্দিরের দরজা। এই আবহে হুঁশিয়ারি দিলেন ক্ষুব্ধ অযোধ্যায় রামলালার মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস।
রামলালার বেহাল দশা দেখে রীতিমতো বিস্মিত সত্যেন্দ্র। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির প্রকোপ বাড়লে প্রার্থনা করাই অসম্ভব হয়ে পড়বে। রামমন্দির তৈরিতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বহু ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেছেন। উদ্বোধনের পর প্রথম বর্ষাতেই মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে গর্ভগৃহে জল পড়তে শুরু করেছে। যেখানে রামলালা রয়েছেন সেই জায়গার জল থই থই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে শর্ট সার্কিট যাতে না হয়ে যায় তার জন্য ভোর ৪টে ও সকাল ৬টার আরতি টর্চের আলোতে করতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি দু’একদিনের মধ্যে কোনও ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে বাধ্য হয়েই আমাদের বন্ধ করতে হবে পুজাপাঠ। সেখেত্রে ভক্তদের জন্যও বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা।’
উদ্বোধনের দিনে নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন যে , এই নির্মাণ বিশ্বমানের। মন্দিরের গঠনশৈলী তাক লাগিয়ে দেবে বিশ্ববাসীকে। প্রশ্ন উঠছে যে, নির্মাণশৈলী বিশ্বমানের হলে মরশুমের প্রথম বর্ষণেই কীভাবে গর্ভগৃহে চুঁইয়ে পড়ে জল? প্রধান পুরোহিতের দাবি এবং বিরোধীদের জোড়া আক্রমণে প্রবল চাপে বিজেপি। ভক্তদের অভিযোগ রামমন্দিরের এমন বেহাল অবস্থার জন্য বিজেপি সরকার দায়ি। ভোটের বাজারে ফায়দা তুলতে দ্রুত মন্দির উদ্বোধন করাই উদ্দেশ্য ছিল গেরুয়া শিবিরের। তাই জাঁকজমকের আড়ালে ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন খোদ রামলালা।