২১ জুলাই রেলকে অতিরিক্ত ট্রেন দিয়ে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে, বললেন মমতা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আর কদিন পর বড় অনুষ্ঠান হবে কলকাতা শহরে। জনসমুদ্র আছড়ে পড়বে ধর্মতলায়। কারণ সেদিন ২১ জুলাই। তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস কর্মসূচি। দলের সব থেকে বড় কর্মসূচি এটিই। এখান থেকেই রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বার্তা দিয়ে থাকেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক জেলা থেকে কলকাতায় নেতা–কর্মী–সমর্থকরা এসে থাকেন। তাঁদের যাতায়াতের জন্য ট্রেনের প্রয়োজন হয়। এই বিষয়ে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে শহরে যানজট এবং মূল্যবদ্ধি নিয়ে নানা কথা বলেছেন। ডিভিসি জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন এবং রেলকে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
তৃণমূলের শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ জড়ো হবেন ধর্মতলার বুকে। তাঁরা যাতে ঠিকমতো কলকাতায় আসতে পারেন এবং সভার শেষে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন, তার জন্য রেলকে অতিরিক্ত ট্রেন দিয়ে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে ‘গেরুয়া’ রং নিয়ে বিজেপিকে চড়া সুরে নিশানা করেছেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ। রেলকে গেরুয়া রং করে দিচ্ছে কেন্দ্র। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে গেরুয়া রং না করলে টাকা দেবে না বলছে। কিন্তু আমরা তো কখনও রং নিয়ে রাজনীতি করি না। এরপর তো গেরুয়া পোশাক না পরলে, দেশে থাকা যাবে না বলে নির্দেশ দেবে। কিন্তু আমাদের মনের রং গেরুয়া করবে কী করে?
এর আগে গত বছরে কেন্দ্রের কাছে ১০০ দিনের কাজে প্রাপ্য টাকার দাবিতে দিল্লি অভিযান করেছিল তৃণমূল। তার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি যাওয়া-আসার জন্য রেলের কাছে স্পেশাল দু’টি ট্রেন চাওয়া হয়েছিল। অগ্রিম টাকা নিয়েও পরে স্পেশাল ট্রেন বাতিল করে দেয় রেল। সেই প্রসঙ্গটি ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের আগে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন থেকে তিনি বলেছেন, আমরা তো স্পেশাল ট্রেন নিতে চাই। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার পরেই আমাদের ট্রেন দেওয়া হয় না। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে প্রচুর মানুষের ভিড় হবে। ট্রেন অতিরিক্ত দেওয়ার দায়িত্ব রেলকে নিতে হবে। মানুষের যাতে দুর্ভোগ না হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব রেলের। উত্তরবঙ্গ থেকে প্রচুর মানুষ আসবেন, ফলে তাঁদের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব রেলকে নিতে হবে।