সুকান্তর গলায় উল্টো সুর কেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা। ইডি-সিবিআই দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যাবে না! দলীয় কর্মিসভায় গিয়ে এই বার্তাই দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোট এবং রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর সুকান্তের এই বার্তায় জল্পনা তৈরি হয়েছে। দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে, লোকসভা-পূর্ববর্তী সময়ে দল যে ‘কৌশলে’ চলছিল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে বার্তা দিতেন প্রকাশ্যে, সেই ‘পথ’ থেকেই কি সরে আসার কথা বলছেন সুকান্ত?
বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে বসেন বালুরঘাটের এমপি। তাঁর নেতৃত্বে পঞ্চায়েত, পুরসভা, লোকসভায় লড়েছে দল। যার প্রতিটিতেই কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতে সুকান্তবাবুর উপলব্ধি, সংগঠন গোছানো যায়নি। রবিবার হুগলিতে জোড়া কর্মিসভায় পরোক্ষে নিজেই তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বর্তমান কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে সুকান্তর বার্তা, ‘আপনি পরিশ্রম করে যদি সংগঠন তৈরি করতে পারেন, তা হলে জিতবেন। আর না পারলে কোনওদিন জিতবেন না। ইডি-সিবিআই দেখিয়ে ভোটে জয় আসবে না। সব ছেড়ে আগে দলের সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে ঝাঁপানো জরুরি।
নরেন্দ্র মোদী আসবেন, ম্যাজিক ছড়িয়ে দেবেন, আমরা জিতে যাব—এটা হয় না। অনেকেই বলেন, দাদা সিবিআইকে বলুন। ওকে জেলে ঢুকিয়ে দিন। জিতে যাব। এসব করে কাঙ্ক্ষিত জয় আসবে না।’ উল্লেখ্য, বীরভূমের গোরু-বালি-কয়লার টাকা কলকাতায় বিজেপি নেতাদের কাছে যায়—এই অভিযোগ দলেরই একাধিক নেতা বারবার করেছেন। সুকান্তবাবুর এদিনের মন্তব্য সেই সব নেতাদের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।