বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদে ঝড় তুললেন তৃণমূলের সাংসদরা, চাপে মোদী সরকার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সোমবার সংসদে নানা ইস্যুতে একের পর সরকারকে চেপে ধরলেন তৃণমূল এমপিরা। প্রশ্নোত্তর পর্ব হোক বা বাজেটের আলোচনা। শিক্ষা হোক বা শিশু, মূল্যবৃদ্ধি হোক পর্যটন, রেলই হোক বা স্বাস্থ্য, এবারের বাজেটে কিছুই জোটেনি বলেই সমালোচনায় সরব হলেন শতাব্দী। তাঁর খোঁচা, আমরা এতদিন পিপিপি (প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ) মডেল শুনেছি। কিন্তু এখন হচ্ছে বিবিবি। অর্থাৎ বিজেপি বাঁচাও বাজেট। সরকার বাঁচাতে এনডিএ শরিকদেরই শুধু দেওয়া হল। বাকিরা বঞ্চিত। কেন বাংলাকে বঞ্চনার শিকার হতে হবে বারবার?
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বেকারত্ব ইস্যুতে প্রশ্নের উপযুক্ত জবাব না পেয়ে প্রতিবাদ করেন। মালা রায়, প্রতিমা মণ্ডলরা রাজস্থানের কোটায় ছাত্র আত্মহত্যার সুরাহা চেয়ে সরকারের জবাব চান। শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী জবাবে বলেন, এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারি রেকর্ড বলছে পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে মাত্র ১.২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। এদিন কোটায় ছাত্র আত্মহত্যার প্রশ্নটি ওঠার আগেই স্পিকার তথা কোটার সাংসদ ওম বিড়লা নিজের আসন ছেড়ে চলে যান। এদিন এদেশের পড়ুয়ারা বিদেশে কেন চলে যাচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলেন সৌগত রায়।
রাজ্যসভায় শিক্ষাকে হাতিয়ার করে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। দিল্লির একটি কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে তিন পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সংসদের দু’কক্ষই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই প্রসঙ্গ তুলেই ডেরেক বলেন, ‘‘এই রকম মর্মান্তিক ঘটনায় রাজ্যসভা, লোকসভা যে ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা তারিফযোগ্য। কিন্তু এই উদ্বেগ কি নিটের ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছিল? যাতে ২৪ লক্ষ পড়ুয়া প্রভাবিত হয়েছে। এই উদ্বেগ কি মণিপুর কিংবা অসমের বন্যা নিয়ে দেখানো হয়েছে?’’