বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

হিরোশিমা দিবস – মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক কালো দিন

August 6, 2024 | < 1 min read

৬ই আগস্ট মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক কালো দিন। ৭৮ বছর আগে এই দিনে পরমাণু বোমায় কেঁপে উঠেছিল হিরোশিমা। ১৯৪৫ সালের এই বিস্ফোরণের হিরোশিমাতে প্রায় ১৪০,০০০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়ায় হওয়া রোগে হিরোশিমায় ২৩৭,০০০ জনের মৃত্যু হয়। 

আজ, হিরোশিমা দিবসে জানুন এমন কিছু অপ্রকাশিত তথ্য, যা শুনলে আপনি অবাক হবেনঃ  

১. জাপানের হিরোশিমায় ১৯৬৪ থেকে জ্বালানো হয়েছে ‘দ্য ফ্লেম অফ পিস’। পরমাণু বোমা আক্রান্তদের স্মরণে জ্বালানো হয়েছে এই আগুন। যতদিন পর্যন্ত বিশ্ব থেকে পরমাণু অস্ত্রের অস্তিত্ব শেষ না হবে, ততদিন ধরে জ্বালানো হবে এই আগুন।

২. জানা যায়, হিরোশিমায় বোমাবর্ষণের পর সেখানকার  এক পুলিশ অফিসার নাগাসাকিতে যান। সেখানকার পুলিশকে এই হামলার কথা জানান। আর তার ফলেই নাগাসাকিতে বিস্ফোরণে কোনও পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়নি।

৩. হিরোশিমা বিস্ফোরণে বেঁচে যান সুতোমু ইওয়ামাগুচি নামের এক ব্যক্তি। এরপর নাকি ঠিক সময়ে কাজে যোগ দিতে ট্রেন ধরে যান নাগাসাকি। ৯ অগাস্ট সেখানার বিস্ফোরণেও বেঁচে যান তিনি।

৪. হিরোশিমার প্রধান ফুল হল ওলিয়ান্ডার। কারণ হিরোশিমার বিস্ফোরণের পর প্রথম এই ফুলটিই আবার নতুন করে ফুটতে শুরু করে।

৫. এলোনা গে’ নামক পারমাণবিক বোমাবাহী যুদ্ধবিমান যা হিরোশিমা অভিযানে গিয়েছিল তার মধ্যে থাকা ১২ জন সদস্যের মাত্র তিনজন এই অভিযানের আসল কারণটা জানতেন।

৬. প্রায় ২৭ কোটি বছরের পুরনো গাছ গিংকো বিলোবা। এটি খুব কমই রোগে আক্রান্ত হয়। বাঁচেও অনেকদিন। হিরোশিমা বিস্ফোরণের পরও এটিই একমাত্র জীব, যা বেঁচে ছিল।

৭. আসল হামলার আগে ৪৯টি প্র্যাকটিস বোমা ফেলেছিল আমেরিকা। যাতে মৃত্যু হয়েছিল ৪০০ জনের। আহত হয় ১২০০।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Hirosima Day

আরো দেখুন