দেশ বিভাগে ফিরে যান

ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, ছাপ্পা ভোট এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ

August 9, 2024 | 2 min read

ছবি সৌজন্যে: পিটিআই

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাকি আসনের ভোটগ্রহণ পর্বও শান্তিপূর্ণভাবে হল না। আগেই ৭১ শতাংশে আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আসন জিতে নেয় শাসকদল বিজেপি। সেখানে হুমকি, ভয় দেখানো–সহ নানা ঘটনা ঘটিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বাকি আসনের ভোটগ্রহণ পর্বও শান্তিপূর্ণভাবে হল না।

নানা এলাকায় বিস্তর হিংসা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, উৎসবের মেজাজে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। আর ব্যাপক কারচুপি, ছাপ্পা ভোট এবং সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ভোটগ্রহণ ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভবানীপুর পঞ্চায়েত এলাকা। দলেরই প্রার্থীর উপরে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, ধনপুরের বিধায়ক বিন্দু দেবনাথের বিরুদ্ধে ভোট বন্ধের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান নির্দল প্রার্থীরা। বিলোনিয়ায় নির্দল প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। যার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় সুভাষ কলোনি জেবি স্কুল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে।

ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন পশ্চিম জেলা পরিষদের ১৭ নম্বর আসনের বাম প্রার্থী মিলন সরকার। কাঁঠালিয়া ব্লকের নির্ভয়পুর হাইস্কুলের বুথে সিপিএম এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঊণকোটি জেলার হালাইরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর আসনের সিপিএম প্রার্থীর ছেলেকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা তথা বাম বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বিজেপি রাজ্যের মানুষের মুখোমুখি হতে ভীত, সন্ত্রস্ত। তারা জানে, নিরপেক্ষ ভোট হলে ভরাডুবি হবে।’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘মাত্র ২৯ শতাংশ আসনে ভোট হলেও সেখানেও শাসক দল ব্যাপক সন্ত্রাস করেছে। বিরোধী এজেন্টদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tripura, #bjp, #Violence, #Rigging, #panchayat elections

আরো দেখুন