আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কার সামরিক শক্তি কতটুকু?

August 11, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সম্প্রতি প্রায় দু’দশক পরে আবার বাংলাদেশে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র হয়ে উঠল সেনাবাহিনী। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি অশান্ত পরিস্থিতিতে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদের প্রত্যক্ষ তৎপরতার গঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। নেতৃত্বে ছিলেন, অর্থনীতিবিদ তথা বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমেদ। এ বার জনরোষের জেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান সামনে আসেন।

ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে গড়ে উঠল নয়া অন্তর্বর্তী সরকার। আর প্রধান হিসেবে নবনিযুক্ত হতেই ঢাকায় পৌঁছে হিংসার পথ থেকে সরে আসার বার্তা দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মহম্মদ ইউনুস। কিন্তু সাম্প্রতিক বাংলদেশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেই দেশের সেনাবাহিনীর শক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, পাশাপাশি ভারতের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুলনা শুরু হয়েছে।

বিশ্বের কোন দেশের সামরিক শক্তি কতটুকু, সে বিষয়ে প্রতিবছর একটি তালিকা প্রকাশ করে থাকে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। ২০২৪ সালেও প্রতিষ্ঠানটি ১৪৫টি দেশের সামরিক শক্তির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে রয়েছে ১৬,৩০০ সক্রিয় সেনা। আধাসামরিক বাহিনীতেও রয়েছে ৬৮ লাখ সেনা। অস্ত্রশস্ত্রের নিরিখে বাংলাদেশে বায়ুসেনার হাতে আছে মোট ২১৬টি এয়ারক্র্যাফ্ট। যার মধ্যে যুদ্ধবিমান ৪৪টি, ট্রেইনার বিমান ৮৭টি, হেলিকপ্টার ৭৩টি, স্পেশাল মিশন ক্র্যাফ্ট ৪টি এবং ট্রান্সপোর্ট বিমান আছে ১৬টি। এবং নৌবাহিনীর হাতে সব মিলিয়ে অ্যাসেট আছে ১১৭টি। ফ্রিজেট ৭টি, কর্ভেট ৬টি, সাবমেরিন ২টি, পেট্রল ভেসেল ৫৫টি, মাইন ওয়ারফেয়ার ৫টি।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুসারে, ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী সেনাবাহিনী। ভারতের সক্রিয় সেনা সদস্যর সংখ্যা ১৪.৫৫ লক্ষ। যা প্রায় বাংলাদেশের জনসংখ্যার সমান। এছাড়া, ২৫.৭ লক্ষ আধাসামরিক কর্মী এবং ১১.৫৫ লক্ষ রিজার্ভ কর্মী রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কোনো রিজার্ভ কর্মী নেই। অন্যদিকে অস্ত্রশস্ত্রের নিরিখে ভারতে বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি ভয়ংকর অস্ত্রের সম্ভার রয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bangladesh Army, #indian army

আরো দেখুন