দীঘা-মন্দারমণিতে এবার নজরদারি চালাবে স্পিডবোট
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মে-জুলাই মাস পর্যন্ত দীঘা ও মন্দারমণিতে স্নানে নেমে ১০জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। ২৮ জুলাই দীঘার সমুদ্রে তলিয়ে উত্তর ২৪ পরগণার টিটাগড়ের বাসিন্দা দীপঙ্কর নন্দীর মৃত্যু হয়। তার আগে ২২ জুলাই শঙ্করপুরে পাথরের উপর দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার সময় ভেসে যায় বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা বছর সতেরোর প্রিয়ন্তি পাটোয়ারি। পরে তার দেহ উদ্ধার হয়।
১৬ জুলাই মন্দারমণিতে সমুদ্রস্নানে নেমে দুর্গাপুরের তিন পর্যটক-সমর চক্রবর্তী, কৌশিক মণ্ডল ও ঋত্বিক গড়াইয়ের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার আগের দিনই মন্দারমণিতে তলিয়ে হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা অনুপম বর্মনের মৃত্যু হয়। এছাড়া, দীঘায় বেড়াতে এসে হুগলির এক পর্যটক উদয়পুরে সমুদ্রে তলিয়ে মারা যান। ১৬ জুন মন্দারমণির সমুদ্রে বিহারের মুজফ্ফপুরের মণীশ কুমার তলিয়ে যান। ১৪ জুন দীঘার জগন্নাথঘাটের কাছে সমুদ্রে তলিয়ে উত্তর ২৪পরগণার মধ্যমগ্রামের কিশোর শুভজিৎ দে’র মৃত্যু হয়। এছাড়া, ২৫ মে দীঘায় ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা বেদপ্রকাশ সাহু তলিয়ে মারা যান।
পরপর সমুদ্রে তলিয়ে এতগুলি মৃত্যুর ঘটনায় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিস ও সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়াদের দাবি, অনেক পর্যটক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তাল সমুদ্রে নেমে পড়েন। অ্যাডভেঞ্চার আর সেলফির নেশায় জীবনে ঝুঁকি নেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সমুদ্রে নামার জেরেও দুর্ঘটনা ঘটছে। এই সব দুর্ঘটনা রুখতে এবার স্পিডবোটে নজরদারি চালানো হবে। এজন্য প্রাথমিকভাবে আটটি স্পিডবোট কেনা হচ্ছে। নুলিয়ারা স্পিডবোটে প্রতিটি ঘাটে নজরদারি চালাবেন। এর ফলে দুর্ঘটনায় অনেকটাই রাশ টানা যাবে বলে তারা মনে করছে। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে উদ্ধারকাজেও গতি আসবে। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় হালদার বলেন, আটটি স্পিডবোট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।