আখড়া ছাড়ছেন না ভিনেশ, এবার কোন ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৭ অগস্ট প্যারিস থেকে ভারতে ফিরেছেন তারকা কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। টোকিও অলিম্পিক্সে পদক জেতা কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া এবং সাক্ষী মালিকও ভিনেশকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন। ভারতে আসার পর যারা তাঁকে সমর্থন করেছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভিনেশ ফোগাট। তবে এই সময় ভিনেশও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ভিনেশ ফোগাট দেশে ফেরার পরে যে ভালোবাসা পেয়েছেন তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি সেটা ১০০০ সোনার পদকের থেকেও বেশি।’
দিল্লি থেকে হরিয়ানার বালালি গ্রামের দূরত্ব ১৩৫ কিলোমিটার। সড়কপথে সময় লাগে মেরেকেটে তিন ঘণ্টা। কিন্তু শনিবার দিল্লি বিমানবন্দর থেকে হুডখোলা জিপে ভিনেশ ফোগাটের বাড়ি ফিরতে সময় লেগেছে ১৩ ঘণ্টা!
বারেবারে থামাতে হয়েছে তারকা কুস্তিগিরের গাড়ি। পথের দু’পাশের প্রায় প্রত্যেক গ্রামেই বীরের সংবর্ধনা পেয়েছেন ভিনেশ। নিজের গ্রাম বালালিতে পৌঁছনোর পর তা আরও জমকালো হয়ে ওঠে। সেখানেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। তবে জ্যাঠামশাই মহাবীর ফোগাটের নাম মুখে না নেওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকের রোষের মুখেও পড়েছেন প্যারিস ওলিম্পিকসে মাত্র ১০০ গ্রাম বাড়তি ওজনের জন্য পদকের স্বপ্ন খোয়ানো কুস্তিগির।
শনিবার ভিনেশকে ঘিরে আবেগের জোয়ারে গা ভাসান ক্রীড়াপ্রেমীরা। দিল্লি বিমানবন্দর চত্বরে সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া ছাড়াও তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন অজস্র মানুষ। সেই উন্মাদনা আগাগোড়া বজায় ছিল যাত্রাপথে। আলোর রোশনাই আর নাকাড়ার আওয়াজের মধ্যে বালালিতে পা রাখেন ভিনেশ। প্রিয়জনদের সামনে ফের কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কিছুটা ধাতস্থ হওয়ার পর অশ্রুসজল চোখেই মঞ্চে ওঠেন লড়াকু কন্যা। ভিনেশ বলেন, ‘প্যারিসের ক্ষত কোনও দিন সারবে কিনা জানা নেই। এও বলতে পারব না যে, ফের আমি কুস্তি লড়ব কিনা। তবে এই গ্রামে যে মেয়েরা কুস্তির আখড়ায় নাম লেখাবে, তাদের আমি নিজে প্রশিক্ষণ করাব। দীর্ঘ কেরিয়ারে যা শিখেছি সব উজাড় করে দেব। সেখান থেকে কেউ বড় মঞ্চে পদক জিতলে সেটাই হবে আমার চরম সাফল্য।’