অসমে গনধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সাম্প্রদায়িক তত্ত্বেই অনড় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কাকিমাকে ১৪ বছরের নাবালিকার প্রশ্ন ছিল, ‘‘ধর্ষণ কী?’’ দু’দিন পর তাঁকেই হতে হল ধর্ষণের শিকার! গত ২২ অগস্ট অসমের নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে অর্ধচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে। অভিযোগ, কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার সময় তাকে তিন জন দুষ্কৃতী গণধর্ষণ করে। তার পর রাস্তার ধারে তাকে ফেলে রেখে যায় তারা।
এই নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর থেকেই উত্তপ্ত অসম। এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এর নেপথ্যে এলাকা দখলের ছক কাজ করছে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মানুষকে ভয় পাওয়াতেই এধরনের অপরাধ সংগঠিত করা হচ্ছে। এরপর তাদের জমি-বাড়ি দখল করছে সংখ্যালঘুরা। এভাবে পুরো ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক রং চড়ানোর চেষ্টা করলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। নাবালিকার গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে রবিবারও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামলেন সাধারণ মানুষ। এরইমধ্যে বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধেও সাম্প্রদায়িক তত্ত্ব দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দায় ঝাড়ার চেষ্টা করছেন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নগাঁও জেলার ঢিংয়ে টিউশন থেকে ফেরার পথে ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে তিনজন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
ঘটনার প্রতিবাদে গত দু’দিন ঢিং দোকানপাট বন্ধ রেখেছিলেন স্থানীয়রা। এদিন দোকান-বাজার খুললেও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল বের হয়। ঘটনার মূল অভিযুক্তকে শুক্রবার পুলিস গ্রেপ্তার করে। কিন্তু শনিবার সকালে পুলিসের কাছ থেকে পালানোর চেষ্টায় সে একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয় এবং এরফলে জলে ডুবে তার মৃত্যু হয় বলে দাবি। বাকি দুই অভিযুক্তকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিস।