পুলিশ কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছে: এডিজি দক্ষিণবঙ্গ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার সন্ধেয় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বললেন, ছাত্র আন্দোলনের নামে ৩ ঘণ্টা ধরে টানা আক্রমণ চালানো হল, পলিশকে রক্তাক্ত করা হল, জনজীবন ব্যহত করা হল। এর নেপথ্যে নিশ্চয়ই কোনও শক্তির ইন্ধন রয়েছে। নবান্ন অভিযানের নাম করে এদিন বাংলায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব করা হয়েছে বলে দাবি করলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ।
কোন শক্তি রয়েছে তা স্পষ্ট করে না বললেও এডিজি দক্ষিণবঙ্গ বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকে বলে আসছিলেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা। অথচ এদিন সকাল থেকেই তাঁরা যেভাবে একের পর এক পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙল, পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে রক্তাক্ত করল, তাতে স্পষ্ট ওরা বড় ধরনের কোনও অশান্তি তৈরি করতে চেয়েছিল। তবে পুলিশ ওই প্ররোচনায় পা না দিয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছে।
এদিনের তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৯৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বাকিদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ বলেন, “যাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলে বিনা প্ররোচনায় অশান্তি তৈরি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও পুলিশকে রক্তাক্ত করে তাদের ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই নেই।” এডিজি দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মাও।