টেলিগ্রাম কর্তাকে গ্রেপ্তার করতে ‘হানিট্র্যাপ’এর সাহায্য নেওয়া হয়েছিল?
প্যারিসের বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরোভকে। সূত্রের খবর, টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপ সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সংস্থার সিইও-কে। এখন তিনি ফরাসি পুলিসের হেফাজতে। পাভেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে বহু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হচ্ছে। আর সেসব রুখতে অ্যাপের অধিকর্তা হিসেবে তেমন কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ নেননি তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় ফ্রান্সের লে বুর্গেট বিমাবন্দরে টেলিগ্রাম কর্তাকে যখন গ্রেপ্তার করে পুলিস, তখন তিনি একা ছিলেন না। সঙ্গে ছিলেন এক ‘রহস্যময়ী’। তাঁর নাম জুলি ভাভিলোভাও। অনেকে দাবি করছেন, জুলি হলেন পাভেলের ‘প্রেমিকা’। আর এই গ্রেপ্তারির পিছনে বড় ভূমিকা থাকতে পারে জুলির। বলা হচ্ছে, জুলির উপর নজরদারি চালিয়েই পাভেলকে জালে জড়াতে সক্ষম হয়েছে পুলিস। অনেকে জুলিকে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ-এর এজেন্ট বলেও সন্দেহ করছেন।
ইন্টারনেট বলছে, ২৪ বছর বয়সি জুলি ভাভিলোভা দুবাই নিবাসী। তিনি একাধারে ক্রিপ্টো কোচ এবং ভিডিও গেমিংয়ের লাইভ স্ট্রিমার। সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে তাঁর ২০ হাজারের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। ইংরেজি, রুশ ও স্প্যানিশের পাশাপাশি আরবি ভাষাতেও দক্ষ তিনি। কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, আজেরবাইজান সহ বেশ কিছু জায়গায় পাভেলের সঙ্গে তাঁর সময় কাটানোর ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন স্বয়ং জুলিই।
জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তারির আগে প্রাইভেট বিমানে জুলিকে নিয়ে প্যারিসে পৌঁছেছিলেন পাভেল। প্যারিসে দু’জনের সময় কাটানোর ছবি সমাজমাধ্যমে নাগাড়ে পোস্ট করে গিয়েছেন জুলি। আর সেই সূত্রেই পুলিস প্রশাসন পাভেলের অবস্থান জানতে পেরেছে। জুলি এটা অনিচ্ছাকৃতভাবে করেছেন, না কি এর পিছনে হানিট্র্যাপ-এর মতো গভীর ষড়যন্ত্র আছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পাভেলের গ্রেপ্তারির পর পরিজনরা জুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলেই জানিয়েছে ফরাসি সংবাদসংস্থা।
সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, পাভেল দুরোভের বিরুদ্ধে টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণা, মাদক পাচার, সাইবার বুলিং, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করতে না পারার কারণেই ফ্রান্সের ওএফএমআইএন-র তরফে টেলিগ্রামের সিইও-র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।