জাতিগণনা হবে! শরিকদের চাপে গদি বাঁচাতে নতিস্বীকার মোদীর?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শরিক নিয়ে চলতে হচ্ছে, একের পর এক ইস্যুতে ধাক্কা খেতে হচ্ছে মোদীকে। এবার নয়া সংযোজন জাতিগত জনগণনা। যা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। জাতপাতের বিভাজনের সঙ্গে তুলনাও করেছিলেন। কিন্তু শরিকদের চাপের মুখে টিকল না মোদীর মতামত। জনগণনার সঙ্গেই জাতিগণনা করা হবে, বৃহস্পতিবার এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নোট। তাতে আসন্ন জনগণনায় কাস্ট সেন্সাসের অন্তর্ভুক্তিকরণের বার্তাও থাকবে।
জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিতে সরব বিরোধীরা। গত আড়াই বছর ধরে রাহুল গান্ধী দাবি করে এসেছেন জাতিগণনার জন্য। মোদী সরকার গুরুত্ব দেয়নি। ‘কাস্ট সেন্সাসে’র দাবি জনমানসে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, লোকসভা ভোটেই মিলেছে তাঁর প্রমাণ। অনগ্রসর ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই সরে গিয়েছে বিজেপির থেকে। ফলে নির্বাচনের পরই উলটপুরাণ। জোটের অন্দরে শরিকি চাপ তো আছেই।
বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’র সুরে সুর মিলিয়ে এনডিএ সরকারের প্রধান শরিকরাও কাস্ট সেন্সাসের দাবিতে সরব। নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দল, চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম, চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি, একই দাবিতে সরব। বৃহস্পতিবার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিরোধীদের সুরে সুর মেলায় তারা। তাতেই সরকার জাতিগণনা নিয়ে ইতিবাচক আভাস দিয়েছে। বৈঠকে কংগ্রেসের মণিকম ঠাকুর, ডিএমকের টি আর বালুরা কাস্ট সেন্সাস নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। দাবিকে সমর্থন করেন নীতীশ কুমারের দলের এমপি গিরিধারী যাদব। কোনও প্রতিবাদ করা হয়নি সরকার পক্ষের তরফে। তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বলেছেন, আজ প্রায় ২০ বছর হয়ে গেল ওবিসি কমিশনের। বিগত ২০ বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে সামাজিক বিন্যাসের। তাই আরও একবার ওবিসি কমিশন গঠনের সময় এসেছে।
আরএসএসের তরফ থেকে জাতিগণনার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে যে জনগণনা শুরু হতে চলেছে, তাতে কাস্ট সংক্রান্ত কলাম থাকবে। তাতে অবশ্য সেন্সাস আইনে বদল ঘটাতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ক্যাবিনেট নোট তৈরি করবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা পাশ করানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। তারপর আইন সংশোধন করেই সেন্সাস প্রক্রিয়ায় জাতিগণনার অন্তর্ভুক্তি ঘটবে।