বিধানসভায় পাশ ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’, মোদী-শাহের পদত্যাগ চাইলেন মমতা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার ধর্ষণ বিরোধী কড়া বিল পেশ করল রাজ্য সরকার। বিধানসভায় বিলটি পেশ করেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪) বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে পরিস্থিতির তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। দেশে নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারেননি তিনি। তাই প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।”
বিরোধী বিধায়কদের সংশোধনী প্রস্তাব আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে ওঠেন। তিনি বলেন, আজকের দিন অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর দিনটি রাজ্যের মহিলা বাহিনীর জন্য ‘ঐতিহাসিক দিন’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্যের শুরুতে বলেন, “মেয়েদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে ৩ সেপ্টেম্বর একটা ঐতিহাসিক দিন। ১৯৮১ সালে এই দিনে মেয়েদের অধিকার সুরক্ষার জন্য ইউনাইটেড নেশন চালু করেছিল নারী বৈষম্য বিরোধী কমিটি। এই দিনের সঙ্গে মিলে যাওয়ার জন্য আমি ইউএনকে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি বলেন, “যাঁরা লড়াই করছেন, তাঁদের সবাইকে সমবেদনা জানাচ্ছি, পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। যাঁরা সারা ভারতবর্ষে অত্যাচারিত হয়েছে, তাঁদের জন্যও আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। ধর্ষণে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছি এই বিলে। এটা সমাজের একটা অভিশাপ। সমাজ সংস্কার প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “কেউ কেউ বলছে, আমরা আইন করতে পারি না। এটা সর্বৈব মিথ্যা। রাজ্য চাইলে আইন আনতেই পারে। সংবিধান সেই অধিকার আমাদের দিয়েছে। অন্ধ্র এনেছে। মহারাষ্ট্রে আনছে। আমাদের এখানে এই আইন রাজ্যপালের কাছে পাঠাচ্ছি। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন।আমরা প্রথম থেকে ফাঁসি চেয়েছি।” বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মাননীয় রাজ্যপালকে বলুন, এটা সই করে দিতে। তার পর দেখুন কার্যকর হয় কিনা।”