দেবী কৌশিকী কে? জানুন হাড় হিম করা কাহিনি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে মন্দিরে মন্দিরে চলল মাতৃ আরাধনা। এই অমাবস্যা তিথি খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তারাপীঠে এদিন মায়ের বিশেষভাবে পুজো করা হয়। এই অমাবস্যাকে তারা রাত্রিও বলা হয়ে থাকে। বলা হয়, এই অমাবস্যার রাতে এক মুহূর্তের জন্য স্বর্গ ও মর্ত্যের দ্বার খুলে যায়, সাধকদের জন্য এই অমাবস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিদ্ধি লাভ করার জন্য, গুপ্ত সাধনার জন্য এই তিথি খুব ফালদায়ী।
কৌশিকী অমাবস্যার পিছনে রয়েছে পৌরাণিক এক কাহিনি। এই কাহিনি অনুসারে, দেবী কৌশিকী হলেন আদি শক্তি মহামায়ার অন্যতম রূপ। দুই অসুর শুম্ভ, নিশুম্ভের অত্যাচারে যখন পৃথিবী বিপর্যস্ত তখন আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী কৌশিকী। স্কন্ধ পুরাণে রয়েছে দেবী কৌশিকীর বর্ণনা। দেবী কালিকা রূপ নিয়ে বধ করেছিলেন দুই অসুরকে।
সিদ্ধি লাভ করার জন্য সাধকরা এই অমাবস্যাকে বেছে নেন। কালীর বিভিন্ন রূপ রয়েছে, তার মধ্যে দেবী কৌশিকী হলেন মা কালীর অন্যতম রূপ। এই তিথিকে তারা নিশি বলা হয়ে থাকে। মায়ের বিশেষভাবে পুজো করে দ্বারকা নদীতে ডুব দিয়ে স্নান করলে বলা হয় মোক্ষ লাভ হয়। তিথি মাহাত্ম্যের জন্য এদিন তারাপীঠ থেকে শুরু করে মায়ের সমস্ত শক্তিপীঠে ভিড় উপচে পড়ে। মন্দিরগুলিতে ভক্তদের ঢল নামে।