নবদ্বীপের শ্রীশ্রী রাধা মদনগোপাল মন্দিরে বৈষ্ণব মতে পূজিত হন দেবী দুর্গা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নবদ্বীপের মায়াপুর মেন রোডে শ্রীশ্রী রাধা মদনগোপাল মন্দিরে বৈষ্ণব মতে পূজিত হন দেবী দুর্গা। অষ্টমীতে দিন অন্ন, খিচুড়ি, বিভিন্ন ভাজা, নানা পদের ব্যঞ্জন, পুষ্পান্ন, পরমান্ন, দই, নানান মিষ্টি-সহ ৫৬ রকমের ভোগ দেওয়া হয় দেবীকে। নবমীতে খিচুড়ি, দশমীতে দই চিঁড়ে ভোগ দেওয়া হয়। প্রথমে মন্দিরের রাধা মদনগোপালকে ভোগ নিবেদন করা হয়। ১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রথা মেনে পুজো হয়ে আসছে। অষ্টমীর দিন দেবীর সামনে কুমারীপুজো হয়।
বাংলাদেশে এই পুজো শুরু হয়েছিল। গোস্বামী বংশের পূর্বপুরুষ আনন্দ গোপাল গোস্বামী এই পুজো শুরু করেছিলেন। সাবেকি একচালা বুলেনের সাজে সজ্জিতা থাকে প্রতিমা। এখানে দেবীর বাহন অশ্বাকৃতি। পঞ্চমীর দিন দেবী দুর্গাকে পুজো মণ্ডপে আনা হয়। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী প্রতিদিনই রাধা মদনগোপালের প্রসাদী ভোগ দেবীকে দেওয়া হয়। মহাষ্টমীতে নবদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী সাত শিবের পুজো হয়। নবমীতে দেবীর মাথায় ফুল চাপানো নয়, পুজো চলাকালীন আঁচল পাতা হয়। মাথা থেকে সেই ফুল আঁচলে পড়লে মায়ের কৃপা হয়েছে বলে মনে করেন পুরোহিত। দশমীতে ভাগীরথীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে শ্রীশ্রী রাধা মদনগোপাল মন্দিরে দেবী দুর্গার পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই মন্দিরে রাধা মদনগোপাল, মহাপ্রভু, গোবিন্দ, মালক্ষ্মী, গিরিরাজ বিগ্রহ আছেন। প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচবার ভোগ দেওয়া হয়। পুজো দেখতে বহু মানুষ মন্দিরে ভিড় করে।