অষ্টমীর প্রধান আকর্ষণ কুমারী পুজো, বয়স ভেদে কুমারীদের নাম জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অষ্টমীর অন্যতম আকর্ষণ হল কুমারী পুজো। শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন, শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর প্রকাশ। কুমারীকেই বিশ্বজননী রূপে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয়। বেলুড় মঠের কুমারী পুজো খুবই বিখ্যাত। বারোয়ারি পুজো থেকে শুরু করে বনেদি বাড়ির শুরু; সর্বত্রই কুমারী পুজোর চল রয়েছে। ব্রহ্মাণ্ডে স্থিতি, স্থিতি ও লয় চলছে প্রতি মুহূর্তে, তিন শক্তিই নারীর মধ্যে নিহীত রয়েছে। কুমারীই নারী শক্তির প্রতীক। মুনিঋষিরা কুমারীপুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পুজো করতেন। প্রকৃতি মানেই নারী। মহাভারতের যুগে কুমারী পুজোর প্রচলন হয়েছিল। অর্জুনের কুমারী পুজো করার বিবরণও পাওয়া।
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, কোলাসুরকে বধ করার মধ্যে দিয়ে কুমারী পুজোর প্রচলন শুরু হয়। কোলাসুর স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করলে, দেবকুল মহাকালীর শরণাপন্ন হয়। দেবতাদের আবেদনে দেবী কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। তারপর থেকেই কুমারী পুজোর প্রচলন হয়। দেবীজ্ঞানে যেকোনও কুমারীকেই পুজো করা যায়। দেবী পুরাণে কুমারী পুজোর সুষ্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
পুজোর জন্য কুমারীর বয়স হতে হবে ১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। বয়স অনুযায়ী কুমারীর নাম দেওয়া হয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক
- এক বছরের কুমারী – সন্ধ্যা
- দুই বছরের কুমারী – সরস্বতী
- তিন বছরের কুমারী – ত্রিধামূর্তি
- চার বছরের কুমারী – কালিকা
- পাঁচ বছরের কুমারী – সুভগা
- ছয় বছরের কুমারী – উমা
- সাত বছরের কুমারী – মালিনী
- আট বছরের কুমারী – কুষ্ঠিকা
- নয় বছরের কুমারী – কালসন্দর্ভা
- দশ বছরের কুমারী – অপরাজিতা
- এগারো বছরের কুমারী – রূদ্রাণী
- বারো বছরের কুমারী – ভৈরবী
- তেরো বছরের কুমারী – মহালপ্তী
- চৌদ্দ বছরের কুমারী – পীঠনায়িকা
- পনেরো বছরের কুমারী – ক্ষেত্রজ্ঞা
- ষোলো বছরের কুমারী –অন্নদা বা অম্বিকা