জেলায় জেলায় দুর্গাপুজোর কার্নিভালে উপচে পড়ল ভিড়
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: সোমবার জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত হল দুর্গা কার্নিভাল। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপর ছিল প্রশাসন। স্থানীয় মন্ত্রী ও প্রশাসনের কর্তারা হাজির ছিলেন। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতে কার্নিভাল পালিত হয়েছে মহাসমারোহে। উপচে পড়েছে মানুষের ভিড়।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে কার্নিভালে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো, ১৭টি পুজো কমিটি যোগ দেয়। বারাকপুরে লালকুঠি মোড় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে চিড়িয়া মোড় হয়ে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত যায়। কার্নিভাল ঘিরে দুপুর থেকে বি টি রোড ও এস এন ব্যানার্জি রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বারাসত এবং বনগাঁতেও অনুষ্ঠিত হয় দুর্গাপুজো কার্নিভাল। বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে ১৪টি কমিটি অংশ নেয়। হাজির ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া। কার্নিভালের জন্য বারাসতের ডাকবাংলো মোড়, যশোর রোডের হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা ও টাকি রোডের কাজিপাড়ার পর শহরমুখী কোনও গাড়ি ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। বনগাঁ ত্রিকোণ পার্কে আয়োজিত কার্নিভালে ১০টি পুজো কমিটি অংশ নেয়। অশোকনগরে কার্নিভাল হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লক অফিসের সামনে ৯টি ব্লকের ১৫টি পুজো কমিটি অংশ নেয় কার্নিভালে। বারুইপুর মহকুমার কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয় নরেন্দ্রপুরের কামালগাজি নেতাজি স্পোর্টস ময়দানে, তাতে ১১টি পুজো কমিটি অংশ নেয়। ক্যানিং বাস টার্মিনাসে জয়নগর লোকসভার কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে ১৯টি পুজো কমিটি অংশ নিয়েছিল। ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয় চড়িয়াল সেতুর কাছে, উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল।
হাওড়ার কার্নিভালে অংশ নিয়েছিল শহরের ১৮টি পুজো কমিটি। গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন গোটা রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। হুগলির শ্রীরামপুরে স্নানপিঁড়ি মাঠ থেকে বটতলা পর্যন্ত শোভাযাত্রা হয়েছে। ১৭টি ক্লাব সেই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এই প্রথম শ্রীরামপুরে কার্নিভাল আয়োজিত হল। উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভার চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যেগে আয়োজিত কার্নিভালে ১৫টি পুজো কমিটি অংশ নেয়। উলুবেড়িয়া শহরে হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা প্রশাসন ও উলুবেড়িয়া পুরসভার উদ্যেগে কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ১৩টি পুজো কমিটি তাতে অংশ নেয়।
কৃষ্ণনগর কার্নিভালে অংশগ্রহণকারী ২২টি পুজো কমিটির মধ্যে ১৩টি পুজো কমিটি ছিল কোতোয়ালি থানার। রানাঘাট ও তাহেরপুর থানার দু’টি করে পুজো কমিটি এবং চাপড়া, গাংনাপুর, শান্তিপুর, নাকাশিপাড়া ও নবদ্বীপের একটি করে পুজো কমিটি শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
নবদ্বীপ থানার পুর ও গ্রামীণ এলাকায় মিলিয়ে মোট ৩০৫টি দুর্গা পুজো হয়েছিল। এর মধ্যে শনিবার ও রবিবার এই দু’দিনে বিভিন্ন ঘাটে ২১১টি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। বাকি প্রতিমাগুলি সোমবার রাতের মধ্যে নিরঞ্জন হয় গেছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আসানসোলের পুজো কার্নিভালের ১৫টি বড় পুজো কমিটি সুযোগ পায়। দুর্গাপুরে ১৪টি বড় পুজো কমিটি কার্নিভালে অংশ নেয়।
বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় সবমিলিয়ে মোট ২৫টি পুজো কমিটি কার্নিভালে অংশ নেয়।
শিলিগুড়ির কার্নিভালে অংশ নেয় ১৩টি পুজো কমিটি।
কোচবিহার শহরের বিশ্বসিংহ রোডের মিনা কুমারী চৌপথি থেকে শুরু হয় কার্নিভাল। শেষ হয় হরিশপাল মোড়ে। ১০টি পুজো কমিটি অংশ নেয়।
তিস্তাপাড়ের শহর জলপাইগুড়িতে কার্নিভালে উঠে এল এক টুকরো ডুয়ার্স। আদিবাসী থেকে মেচ, রাভা নানা জনজাতির সংস্কৃতির মেলবন্ধনে রঙিন হয়ে ওঠে বিসর্জনের শোভাযাত্রা। কার্নিভালে যোগ দেয় ১৫টি পুজো কমিটি।