বর্ষা বিদায়ের পর চিন্তা বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনাও
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বঙ্গ থেকে এবারের মতো বিদায় নিয়েছে বর্ষা। কিন্তু বর্ষা বিদায়ের পরও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। দুশ্চিন্তা রয়েছে নিম্নচাপ নিয়ে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ২২ অক্টোবর মধ্য-বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। সেটি উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে শক্তি বাড়াবে। ফি বছর অক্টোবর-নভেম্বরে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবণতা থাকে। নিম্নচাপই ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপগুলি উত্তর আন্দামান সাগরে উৎপন্ন নয়, এবারেও তাই হচ্ছে। আগামী সোমবার উত্তর আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে। দু’দিনের মধ্যে তা নিম্নচাপ হিসাবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে।
তারপর শক্তি বৃদ্ধি করে নিম্নচাপটি কোন দিকে যাবে তার উপরই নির্ভর করছে, কোথায় তার প্রভাব পড়বে। আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, তামিলনাড়ু থেকে মায়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত বঙ্গোপসাগর উপকূলের যেকোনও জায়গা দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকবে নিম্নচাপ। গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখছে আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নভেম্বরের প্রথমে বঙ্গোপসাগরে কোনও শক্তিশালী নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা উত্তর অন্ধ্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ থেকে মায়ানমার উপকূলের দিকে ধেয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। নভেম্বরের শেষদিক থেকে ডিসেম্বরের শুরুতে কোনও নিম্নচাপ-ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হলে, তা তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে ব্যতিক্রমও হয়। অক্টোবর-নভেম্বরে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে জোরালো ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার একাধিক নজির রয়েছে।