আন্দোলন জিইয়ে রাখতে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদী অ্যাকাউন্টে টাকা ঢালা হচ্ছে? ১৬ অক্টোবরের ব্যালেন্স ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১০ দফা দাবির মধ্যে সাতদফা নবান্ন মেনে নিলেও, সে সব ‘সেবাধর্ম’ শিকেয় তুলে দাবি আদায়ে চলছে লাগাতার অনশন এবং মঙ্গলবার থেকে ফের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অচল করার জন্য ধর্মঘটের হুমকি। এরই মধ্যে সামনে এল জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (এনজিও) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মোট অর্থের পরিমাণ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট গত ১৩ সেপ্টেম্বর রেজিস্টার অব অ্যাসিওরেন্সের দপ্তরে যে এনজিও’র রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে, তার নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বেসরকারি ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি’র কলকাতা হাইকোর্ট শাখায় যে অ্যাকাউন্টটি (নম্বর-××××××××××৩২৫১) খোলা হয়েছে, সেখানে গত ১৬ অক্টোবরের ব্যালেন্স ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা! জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, আন্দোলনের জন্য খরচ করা হচ্ছে এই টাকা।
দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শুভানুধ্যায়ীরাই সেখানে টাকা পাঠাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন জুনিয়র ডাক্তার সংগঠনের নেতা আসফাকুল্লা নাইয়া। তবে তৃণমূলের অভিযোগ, ন্যায়বিচারের আন্দোলনের নামে রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিঘ্নিত করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাওয়া লালপার্টির কিছু ‘মাতব্বর’, কয়েকজন স্বাস্থ্য ব্যবসায়ী এবং অতিবাম বিপ্লবী তো বটেই, সঙ্গে হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা কিছু ‘সমাজ সংস্কারক’ এই অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা পাঠাচ্ছেন। রাজ্য সরকার যতই সহনশীলতা দেখাক না কেন, আন্দোলন থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা যাতে কোনওমতেই সরে না আসেন, তার জন্য নিয়মিত উস্কানি দিয়ে চলেছে এই অংশটাই।
জানা যাচ্ছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রেজিস্টার অব অ্যাসিওরেন্সের দফতরে এনজিও’র রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। সংশ্লিষ্ট এনজিও-র নামে এইচডিএফসি’র কলকাতা হাইকোর্ট শাখায় যে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে, সেখানে গত ১৬ অক্টোবরের ব্যালেন্স ছিল ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা! জানা যাচ্ছে, জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে রেজিস্ট্রেশন করা ওই এনজিও’র কাজকর্ম হিসেবে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা শিবির এবং রক্তদানের মতো নানা সমাজসেবা মূলক পদক্ষেপের উল্লেখ করা হয়েছে। বাম, অতি বাম -সহ কিছু সংগঠন দেদার জুনিয়র ডাক্তারদের সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে দেদার টাকা ঢালছে বলেও অভিযোগ শাসকদলের। যদিও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুভানুধ্যায়ীরা টাকা পাঠাচ্ছেন, ওই টাকা থেকেই আন্দোলনের যাবতীয় অর্থ খরচ করা হচ্ছে।