গান্ধীনগরে ‘বিচারক’ সেজে ভুয়ো আদালতে দিতেন রায়! গ্রেপ্তার অভিযুক্ত
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শুধু ভুয়ো বিচারকই নয়, একেবারে ভুয়ো আদালত খুলে চলছিল প্রতারণার চক্র গুজরাতের গান্ধীনগরে। জমি সংক্রন্ত একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই ভুয়ো আদালতের খোঁজ পায় পুলিশ।
পুলিস জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে এই ভুয়ো আদালত খুলে অভিযুক্ত প্রতারণা চালাচ্ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নগর দায়রা আদালতে যাঁদের জমি নিয়ে মামলা চলছে, তাঁদেরকে টার্গেট করত মরিস ও তাঁর সঙ্গীরা। মামলার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়া হত। এরপর ভুয়ো আদালতে সেই সব মামলার বিচার করতেন মরিস। টাকার বিনিময়ে পছন্দমতো ‘রায়’ও দিয়ে দিতেন তিনি।
সম্প্রতি নগর দায়রা আদালতের রেজিস্ট্রার মরিসের বিরুদ্ধে কারাঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রশাসনের নজর এড়িয়ে মরিস এই জালিয়াতি কীভাবে চালাতে পারলেন? আর এই ধরনের প্রতারণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে নতুন নয়। এর আগে মোরবি জেলায় ভুয়ো টোলপ্লাজা খুলে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়া গুজরাতেই গত বছর ছয়টি ভুয়ো সরকারি দপ্তরেরও সন্ধান মেলে।
ওই ‘দপ্তর’গুলির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার তছরূপ হয় বলে অভিযোগ। ভুয়ো আদালত নিয়ে তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, ৩৭ বছরের মরিস নিজেকে আদালত নিযুক্ত সরকারি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচয় দিতেন। এরপর প্রতারণার ফাঁদে পা দেওয়া ব্যক্তিকে গান্ধীনগরের অফিসে ডেকে পাঠাতেন। ওই অফিসকে হুবহু আদালত কক্ষের মতো করে সাজানো হয়েছিল। মরিসের শাগরেদরা আদালতের কর্মী বা আইনজীবী সেজে সেখানে থাকতেন।