দিঘা, মন্দারমণিতে অত্যুৎসাহী অনেক পর্যটক এখনও হোটেল ছাড়তে নারাজ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র ঝাপটা পড়ার আগেই অশান্ত দিঘার সমুদ্র। মঙ্গলবার থেকেই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল দিঘার সৈকত। উল্টো দিকে, পর্যটকদের স্রোত বৃদ্ধি পাচ্ছে হোটেলগুলিতে। এই পরিস্থিতিতে নির্দেশিকা জারি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। যেখানে হোটেলমালিকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, বুধবারের মধ্যে হোটেল খালি করে দিতে হবে পর্যটকদের। শুধু দিঘাই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুরের হোটেলগুলির জন্য একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু, অত্যুৎসাহী অনেক পর্যটক কিছুতেই হোটেল ছাড়তে নারাজ। বুধবার সারাদিন হোটেল কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের কার্যত চোর-পুলিস খেলা চলল। কর্মীরা হোটেল ছাড়ার কথা বলতেই কেনাকাটার অজুহাতে বাইরে বেরিয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার দরজায় খিল তুলে কর্মীদের ডাকে সাড়াই দিলেন না। বৃহস্পতিবার সকালেই হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করার পরেও অনেককে টলানো যায়নি।
দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, অনেক পর্যটক সরকারি নিয়ম মেনে দুপুরের মধ্যে হোটেল ছেড়ে দিয়েছেন। তবে, না ছাড়ার সংখ্যাটাও কম নয়। তাঁরা আমাদের কথা কানেই তুলছেন না। কেউ কেউ দরজা বন্ধ করে চুপ করে বসে আছেন। শত অনুরোধেও সাড়া দিচ্ছেন না। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা কী করব?
সুপার সাইক্লোন মানেই দীঘার সমুদ্রে দানব রূপ। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সমুদ্রের এই ভয়াল চেহারা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন অনেকেই। পর্যটকদের পাশাপাশি কাঁথি, এগরা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকেও অনেকে সমুদ্রের এই বীভৎস চেহারা দেখার জন্য ছুটে আসেন। এরকম ‘বেয়াড়া’দের জব্দ করতে বুধবার ওল্ড দীঘা এবং নিউ দীঘার সবকটি ঘাটে যাওয়ার রাস্তা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। প্রতিটি ঘাটে পুলিস, সিভিল ডিফেন্স এবং এনডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে। সি-বিচের ধারেকাছে ঘেঁষার কোনও সুযোগ দিতে চাইছে না পুলিস প্রশাসন। এদিন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী এবং পুলিস সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। সকালের দিকে সি-বিচ বরাবর পর্যটকদের ভিড় লেগে যায়। পুলিস ও সিভিল ডিফেন্স দ্রুত তাঁদের সি-বিচ থেকে হটিয়ে সৈকত চত্বর ফাঁকা করে দেয়।